খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৫ নভেম্বর, কলকাতা: মসজিদে সমীক্ষাকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উত্তরপ্রদেশের সম্ভল। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে চার জনের। ২০ জন পুলিশ অফিসার-সহ আহত হয়েছেন বহু মানুষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে যোগী সরকার। স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সম্ভলে। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। উত্তপ্ত এলাকাগুলিতে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
বহিরাগতরা যেন কেউ সম্ভলে ঢোকার চেষ্টা না করেন, এই মর্মে বিশেষ নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে। সম্ভলের শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষা নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। মসজিদ নিয়ে একটি মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী বিষ্ণু শংকর জৈন। মামলায় তিনি দাবি করেন, অতীতে ছিল হরিহর মন্দির। মুঘল আমলে তা ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়।
১৫২৯ সালে এই কাজ করেন মুঘল বাদশা বাবর। বিষ্ণু শংকর জৈনের মামলার ভিত্তিতে মসজিদ সমীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। গত ১৯ নভেম্বর পুলিশ মোতায়েন করে প্রথম দফায় সমীক্ষা চালানো হয়। সেদিন থেকেই ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়ছিল গোটা এলাকাজুড়ে। রবিবার দ্বিতীয় দফায় সমীক্ষার জন্য সরকারি আধিকারিকরা মসজিদে পৌঁছালে অশান্তি শুরু হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার প্রায় শতিনেক লোক জড়ো হয়েছিলেন মসিজদের সামনে। আধিকারিকরা মসজিদে প্রবেশ করতে গেলে ইট ও পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। যদিও মসজিদের প্রধান বার বার জনতাকে সরে যেতে অনুরোধ করেন। শেষ পর্যন্ত কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় সেখানে।পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথরও ছোড়া হয়। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। জখম কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।