নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ বিচারকের, নিতে চাইছে না পরিবার

99

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২০ জানুয়ারি, কলকাতা: আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় একমাত্র দোষী কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় দাসকে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস।  দোষীর শাস্তি ঘোষণার সময়ে বিচারক জানান, নির্যাতিতার পরিবারের হাতে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ তুলে দিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব।

কর্তব্যরত অবস্থায় খুন হওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা এবং তাঁকে ধর্ষণের জন্য সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা এজলাসে জানান, তিনি এই ক্ষতিপূরণ চান না। তখন বিচারক দাসও বলেন, আইনের যা নিয়ম আছে, সেটা মেনেই তিনি পদক্ষেপ করছেন। সেইমতো আর্থিক সহায়তা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। সেটা গ্রহণ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।

বিচারক আরও জানান, যেভাবে নির্যাতিতা চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে, সেটার কখনও ক্ষতিপূরণ হয় না। বাবা ও মা যেন না ভাবেন যে টাকা দিয়ে সহমর্মিতা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু এটা মাথায় রাখতে হবে যে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব হল সরকারের। এটা জরিমানা করা হয়েছে।

নির্যাতিতার বাবা জানান, তিনি মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার চাইছেন। রায় ঘোষণার পর নির্যাতিতার বাবা-মা চুপচাপ বসে থাকেন এজলাসের একটি বেঞ্চে।আজ সকাল থেকেই সারা রাজ্য তথা দেশের নজর ছিল শিয়ালদহ অতিরিক্ত দায়রা আদালতের দিকে।

সেখানেই দুপুরে আরজি কর কাণ্ডের প্রধান ও একমাত্র দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের সাজাঘোষণা করেন বিচারক অনির্বাণ দাস।প্রসঙ্গত, এই মামলায় বারবারই মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়েছিলেন তিলোত্তমার বাবা-মা। তাঁর মা বলেছিলেন, তাঁদের মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে, তারপরে এমন নৃশংস অপরাধীর বেঁচে থাকার কোনও অধিকার নেই। তবে সেই দাবি পুরোপুরি পূরণ হয়নি। বিচারক মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।