রাত পোহালেই আরজি কর মামলার রায়, ফাঁসি নাকি যাবজ্জীবন? কী আছে সঞ্জয়ের ভাগ্যে?

110

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৭ জানুয়ারি, কলকাতা: শনিবার দুপুরে আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা হতে চলেছে শিয়ালদহ আদালতে। চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিণতি কী হয়, তা জানতে এ রাজ্য তো বটেই, গোটা দেশই মুখিয়ে রয়েছে। আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ-খুনের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেই নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে।

যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যতম বড় নাগরিক আন্দোলন দেখা গিয়েছিল রাজপথে। যে আন্দোলন ছিল রাজনীতির ঝান্ডাবিহীন। কাতারে কাতারে সাধারণ মানুষ ‘ন্যায়বিচার’ চেয়ে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে রাস্তায় নেমেছিলেন। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ-মিছিলের একের পর এক ‘বেনজির’ ছবি দেখেছে গোটা দেশ। ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশ গ্রেপ্তার করে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে।

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইও তদন্ত চালিয়ে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকেই ‘একমাত্র অভিযুক্ত’ হিসাবে বর্ণনা করে আদালতে চার্জশিট পেশ করে। সেই চার্জশিটের ভিত্তিতে মামলার চার্জ গঠন করে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল গত ১১ নভেম্বর। তার দু’মাস পর শনিবার সেই মামলারই রায় ঘোষিত হবে নিম্ন আদালতে। রায় ঘোষণা এবং সাজা ঘোষণা একই দিনে হবে কি না, তা-ও দেখার।

সাধারণত প্রথম দিন অভিযুক্ত ‘দোষী’ না ‘নির্দোষ’, সেই রায়ই ঘোষিত হয়। অভিযুক্ত ‘দোষী’ প্রমাণিত হলে সাজা ঘোষণা হয়ে থাকে সাধারণত তার পরদিন। অভিযুক্ত ‘নির্দোষ’ হলে তার আর প্রয়োজন হয় না। এ ক্ষেত্রে শনিবার অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার ‘দোষী’ ঘোষিত হলে সে দিনই তাঁর সাজা ঘোষণা হয় কি না, তা নিয়েও কৌতূহল রয়েছে। কারণ, তার পরদিন রবিবার আদালত সাধারণত ছুটি থাকে। তেমন হলে সোমবার শাস্তি ঘোষণা হবে।

এই সাজা ঘোষণার আগ মুহূর্তে জেলে কী করছে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়? এই নিয়ে সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সঞ্জয় রায়কে ইতিমধ্যেই একটি বিশেষ সেলে রাখা হয়েছে। এদিকে সঞ্জয় রায় নাকি খাওয়া-দাওয়া খুবই কমিয়ে দিয়েছেন। এদিকে ওষুধও নাকি খাচ্ছে না সঞ্জয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেল আধিকারিক জানিয়েছেন, সঞ্জয়ের সেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে।