খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৮ জুন, দক্ষিণ দিনাজপুর: এক সময় তাকে নিয়ে হইচইয়ের সীমা ছিল না রাজ্যজুড়ে । বছর আটেক আগেও গ্রামের রাস্তার ধুলো উড়িয়ে শাসক এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা সহায়তার প্রতিশ্রুতি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়ি। কিন্তু এখন সে সব শুধু অতীতের ধূসর স্মৃতি মাত্র। ২০১৩ সালে পৃথিবীর একমাত্র অতিকায় মহিলা হিসেবে গিনেস বুকে স্বীকৃতি পাওয়া দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের শ্রীরামপুর গ্রামের অসুস্থ সিদ্দিকা পারভিনের জীবন সংগ্রামে এখন কিন্তু আর কেউ সামিল নেই।এমনকি কীভাবে অতিকায় চলচ্ছক্তিহীন প্রায় অথর্ব তরুণীর দিন কাটছে তার খোঁজও রাখে না কেউ।আজ পর্যন্ত জোটেনি কোনও সরকারি ভাতা। হয়নি আধার কার্ড।
পিটুইটারি গ্রন্থিতে টিউমারের সমস্যায় ২৩ বছর বয়স থেকে সিদ্দিকার চেহারা দীর্ঘ হতে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে তাঁর খাবারের চাহিদা। রোজ প্রায় দু’কেজি চালের ভাত খাওয়ার চাহিদা মেটাতে হিমসিম খেতে হয় গরিব পরিবারটিকে। সিদ্দিকা এরপর ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এক সময় নেতা, মন্ত্রীর সুপারিশে দলীয় কর্মী পরিবেষ্টিত হয়ে সিদ্দিকা চিকিৎসা করতে ট্রেনে কলকাতা থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিলেন। তারপর দিল্লি থেকে সেই যে বাড়িতে সবাই নামিয়ে দিয়ে গেলেন আর খোঁজ রাখে না কেউ। এখনও সুস্থ নন। ক্ষোভে সকলের সাথে ঠিকভাবে কথা বলাও প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন অভিমানী সিদ্দিকা।
এহেন তেত্রিশ পেরোনো সিদ্দিকাকে নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় দিন কাটচ্ছে তার দিনমজুর বাবা আফাজুদ্দিন ও তার মা মানসুরা বিবির। তাদের বক্তব্য সরকার তাদের মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা তো করতে পারল না এবার অন্তত একটি ভাতার ব্যবস্থা করে দিক। যাতে ভবিষ্যতে সিদ্দিকার অল্প হলেও নিশ্চিত সংস্থান থাকে।আর সেই দিনের পথ চেয়ে বসে রয়েছে সিদ্দিকা ও তার পরিবার।