যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৬ জনের ১২ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ, বাজেয়াপ্ত ল্যাপটপ, মোবাইল

63

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৬ অগাস্ট, কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় বুধবার আরও ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিনজন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া ও তিনজন প্রাক্তন ছাত্র। ছ’জনকেই ১২ দিনের জন্য পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৮ অগাস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেপাজতে থাকতে হবে তাঁদের।

ধৃতদের থেকে ৬টি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলেন মহম্মদ আরিফ, আসিফ আফজল আনসারি, অঙ্কন সরকার, অসিত সর্দার, সপ্তক কামিল্যা এবং সুমন নস্কর। মহম্মদ আরিফ জম্মুর বাসিন্দা যাদবপুরে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া, আসিফ আফজল আনসারি ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র, দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার যাদবপুরের সংস্কৃতের প্রাক্তন ছাত্র, সপ্তক কামিল্যা এবং সুমন নস্করও যাদবপুরের প্রাক্তনী। অঙ্কন সর্দার, যাদবপুরের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র, বাড়ি রাজারহাট।

ধৃতদের মোবাইল ফোন ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। এ ছাড়া, প্রাক্তনী সপ্তকের ল্যাপটপও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আগেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাঁদের নাম ছিল, সৌরভ চৌধুরী, মনোতোষ ঘোষ এবং দীপশেখর দত্ত। তাঁদের জেরা করেই পরবর্তী ৬ জনের নাম পেয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সূত্রের খবর, স্বপ্নদীপের মৃত্যুর ঘটনার পরে তিনজনকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এই ছয়জনের নাম উঠে আসে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত এই ছয়জন ভিন রাজ্যে পালানোর ছক কষেছিল। এই ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে আর কারা জড়িত, তাদের খোঁজ শুরু করবে পুলিশ।

গত বুধবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের (স্নাতক) ছাত্র হস্টেলের তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে যান। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হলেও পরদিন সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে।