নেপালের অগ্নিগর্ভ আবহে তিস্তা সেতুতে বিশেষ কর্মসূচি, উপস্থিত আধাসামরিক বাহিনী

5

জলপাইগুড়ি, ১২ সেপ্টেম্বরঃ প্রতিবেশী নেপালের উত্তপ্ত পরিস্থিতির জেরে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগপথ জলপাইগুড়ির তিস্তা সেতুকে ঘিরে দেখা গেল বাড়তি সতর্কতা। শুক্রবার ওই সেতুতে অনুষ্ঠিত হল বিশেষ আপৎকালীন কর্মসূচি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন আধাসামরিক বাহিনী বিএসএফ, জেলা স্বাস্থ্য দফতর এবং দমকল বিভাগের প্রতিনিধিরা।

জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক ডাঃ নীতিন পাল জানান, “আমাদের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে বোঝা যাচ্ছে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে—দুর্ঘটনা বা অন্তর্ঘাত—মেডিক্যাল সাপোর্ট দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি পরীক্ষা করা হচ্ছে।”

এদিন বিএসএফের জওয়ানরা এবং দমকল কর্মীরাও তিস্তা সেতু এলাকায় উপস্থিত থেকে মহড়ায় অংশ নেন। তাঁদের উপস্থিতি ঘিরে এলাকায় উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। স্থানীয়দের একাংশ মনে করছেন, প্রতিবেশী দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুকে ঘিরে আগাম সতর্কতা অবলম্বন করছে প্রশাসন।

উত্তরবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থা নির্ভর করে এই সেতুর ওপর। ফলে নিরাপত্তা ও জরুরি প্রস্তুতির দিক থেকে এ ধরনের কর্মসূচি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি না এলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই উদ্যোগ সীমান্তবর্তী অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখারই অংশ।