খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৫ জানুয়ারি, নয়াদিল্লি: বুধবার ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। এদিন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আইনজীবীরা সওয়াল করেন। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যরা যেন বঞ্চিত না হয় এই বিষয়ে জোরালো সওয়াল করেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবীরা।
তাঁদের বক্তব্য, হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই যে তদন্ত করেছে, সেই তদন্তে অনেক খামতি রয়ে গিয়েছে। সেটার ভিত্তিতে যেন যোগ্যদের চাকরি বাতিল না করা হয়। গত বছর এপ্রিলে ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। ফলে রাতারাতি চাকরি হারান ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী।
ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও চাকরিহারাদের একাংশও মামলা দায়ের করে। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় হাই কোর্টের ওই নির্দেশে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেয়। এখনই তাঁদের চাকরি বাতিল হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি ছিল আজ। কিন্তু এদিনও ওই চাকরিচুতদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না।
শীর্ষ আদালতে এদিন প্রায় ঘণ্টা দুয়েক মামলার শুনানি চলে। সুপ্রিম কোর্টে এদিন গ্রুপ সি চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী বৈধ এবং অবৈধ চাকরিপ্রাপকদের আলাদা করতে তদন্তের দাবি করেন। তাঁর আর্জি, অন্যের বেনিয়মের জন্য যেন সব যোগ্য চাকরিপ্রাপকরা বঞ্চিত না হন। অন্যদিকে, নবম-দশম ও গ্রুপ ডি চাকরিপ্রাপকদের আইনজীবী মুকুল রোহতগির বক্তব্য, নাইসার প্রাক্তন কর্মীর কাছ থেকে পাওয়া তিনটি হার্ড ডিস্কের বৈধতা কতটা তা জানা দরকার।
মুকুল রোহতগি আরও বলেন, আসল ওএমআর সিট নেই, স্ক্যান করা কপিও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে ওই তিনটি হার্ড ডিস্কের ওপর কী ভাবে ভরসা করা যায় সেই প্রশ্ন থাকছে। হার্ড ডিস্ক বিকৃত করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করেন তিনি। তিনিই দাবি করেন, “অযোগ্যদের জন্য যেন যোগ্যরা বঞ্চিত না হন।”
সওয়াল-জবাবের মধ্যেই বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ইঙ্গিত দিয়েছে, কোনওভাবে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করতে পারলে ঠিক আছে। সেটা যদি সম্ভব না হয় তাহলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ২৭ জানুয়ারি। সেইদিন রাজ্য সরকার এবং সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনতে পারে শীর্ষ আদালত।