খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৪ এপ্রিল, কলকাতা: দুর্নীতির অভিযোগে চাকরি গিয়েছে ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীর। বেতন ফেরত দিতে হবে কয়েক হাজার শিক্ষককে। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব না হওয়ায় এমন রায় শীর্ষ আদালতের। একই সঙ্গে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথাও বলেছে আদালত।
শুক্রবার এ ব্যাপারে সাংবাদিক বৈঠক থেকে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধান্ত মজুমদার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন, এত কম সময়ের মধ্যে সমগ্র নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “২২ লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছিলেন আগেরবারে। এঁদের মধ্যে নবম-দশমের এক লক্ষ ৪১ হাজার এবং একাদশ-দ্বাদশের দেড় লক্ষ প্রার্থী রয়েছেন। পরীক্ষা নিতে হবে, ফলাফল প্রকাশ, অত ইন্টারভিউ নেওয়া, প্যানেল প্রকাশ, প্যানেলের মেয়াদ থাকে তো ১ বছর, ফলে পরবর্তী প্যানেলের জন্য অপেক্ষা করা. পুরো প্রক্রিয়া কখনই ৩ মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ করা সম্ভব নয়।”
সিদ্ধার্থবাবু এও বলেন, “শীর্ষ আদালতের নির্দেশের পরও রাজ্য থেকেও দ্রুত নিয়োগের কথা বলেছে। কীভাবে সবটা কতটা দ্রুত করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনাও করছি। আইনি পরামর্শও নেওয়া হচ্ছে। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার বিষয়টি সময়সাপেক্ষ।” নতুন নিয়োগে কারা অংশ নিতে পারবেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ধোঁয়াশা রয়েছে। এসএসসির চেয়ারম্যানও বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে আমরা আইনজীবীদের পরামর্শ নেব।”
চাকরিহারাদের উদ্দেশে তিনি এও বলেন, “ধৈর্য হারাবেন না!” নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীদের বয়সের ছাড় দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন এসএসসির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সবটাই হবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে। কেন যোগ্য অযোগ্য বাছাই করা গেল না? এর দায় কার? সাংবাদিক বৈঠকে একাধিকবার এই প্রশ্ন শুনে কার্যত ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায় এসএসসির চেয়ারম্যানকে।
সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “আদালত রায় দিয়ে দিয়েছে। একই প্রশ্ন বারবার করে আমার বক্তব্য জানতে চাওয়া ঠিক নয়। আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। দায় কার জানতে হলে, সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের ২৩ ও ২৮ নম্বর প্যারাগ্রাফটা পড়ে দেখুন। ওখানেই সব লেখা আছে।”