আলিপুরদুয়ার, ১৬ অক্টোবর : আলিপুরদুয়ার ১ নং ব্লকের শালকুমার অঞ্চলের জলদাপাড়া ও নতুনপাড়া বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।বৃহস্পতিবার তিনি এলাকা ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলেন এবং সরকারি ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালসহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরা।
এদিন দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত হয়ে মন্ত্রী বন্যায় হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দেন। ভোটার কার্ড,আধার, রেশন কার্ড সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সরকারি নথির ডুপ্লিকেট কপি দ্রুত পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর টানা বৃষ্টিতে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।তোরসা নদীর ভয়ানক স্রোতে ক্ষতবিক্ষত হয় আলিপুরদুয়ার জেলা।শুধুমাত্র শালকুমার ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জলদাপাড়া ও নতুনপাড়াতেই ভেঙে যায় বহু বাড়ি, তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। এখনও বহু বাড়ি হাঁটু থেকে কোমর সমান পলির নিচে চাপা। গ্রামের অসংখ্য কৃষক সর্বস্ব হারিয়ে চরম আর্থিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে ধান ও শাকসবজির ফসল সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে।এদিন পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী মলয় ঘটক সাংবাদিকদের জানান,
‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ আমরা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসেছি। দুয়ারে সরকার শিবিরের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও সরকারি পরিষেবা পাচ্ছেন। যেসব মানুষের নথিপত্র বন্যায় নষ্ট হয়েছিল, সেগুলোর ডুপ্লিকেট কপি দ্রুত হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার মানুষের পাশে রয়েছে এবং সবরকম সাহায্য পৌঁছে দেওয়া হবে।”
বন্যা পরিস্থিতির জন্য প্রতিবেশী ভুটানকে দায়ী করে তিনি আরও বলেন, “ভুটান থেকে নেমে আসা আকস্মিক জলের স্রোতে বারবার বাংলার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নদীর বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে, কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানে দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন তৈরি করার দাবি জানানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিলেও কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত কার্যকর কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।”




