খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৮ জুলাই, কলকাতা: ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের বেঞ্চ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই রায় বহাল থাকবে। এই নির্দেশের ফলে ১২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ কার্যত স্থগিত হয়ে গেল বলেই জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে TET উত্তীর্ণদের মধ্যে প্রায় ১২ হাজারের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছিল। এদিকে ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষে যাঁরা ডিএলএড প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতে অংশ নেওয়ার আবেদন জানিয়ে। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর একটি রায়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ জানিয়েছিলেন, যে সব চাকরিপ্রার্থী ডিএলএড-এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদেরকেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শামিল করতে হবে।
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছিলেন, ডিএলএড পরীক্ষায় বিলম্ব হওয়ার কারণেই তাঁরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারছেন না। তাঁদের বক্তব্য শুনে ডিএলএড পরীক্ষার অন্তিম বর্ষের পড়ুয়াদেরও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নিয়োগের দিনক্ষণ ঘোষণার দিন পর্যন্ত যাঁরা ডিএলএড পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তাঁরাই নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।
ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে যান চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়। সেই মামলার শুনানিতেই চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মামলায় শীর্ষ আদালতের শুক্রবার জানায়, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আদৌ প্রশিক্ষণরত শিক্ষকরা অংশ নেবেন কিনা সেটা আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে যতদিন সিদ্ধান্ত নেওয়া না হচ্ছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া ততদিন স্থগিত থাকবে। প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল।