খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৪ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ মোদি পদবি অবমাননা মামলায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির শাস্তিতে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি আরএস গাভাই এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের বেঞ্চ শুক্রবার রাহুলের দু’বছরের জেলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
ফলে এ সংক্রান্ত সুরাত আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। সেই সঙ্গে ওয়েনাড়ের বরখাস্ত সাংসদ রাহুলের পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভবনাও তৈরি হল। কংগ্রেস নেতার ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রেও আর বাধা রইল না।
২০১৯ সালে কর্ণাটকের কোলারে লোকসভা ভোটের প্রচারে ‘মোদি’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু’বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে।
তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ ওই বক্তব্যের মধ্যে গোটা মোদি সমাজকেই অপমান করেছেন বলে গুজরাটের সুরাট আদালতে মামলা করেন বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি। সেই মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় গুজরাটের সুরাট আদালত। পরদিনই তাঁর সাংসদপদ খারিজ করে লোকসভার সেক্রেটারিয়েট।
নিম্ন আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। কিন্তু সেখানেও নিম্ন আদালতের রায় বহাল থাকে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস নেতা। শুক্রবারের শুনানিতে কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “ মোদি পদবিধারী গোটা দেশে ১৩ কোটি মানুষ। অথচ, মামলা করেছেন শুধু বিজেপি কর্মকর্তারাই।”
কংগ্রেসের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ,”কেন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হল, তার কোনও কারণ নিম্ন আদালত ব্যাখ্যা করেনি। তাই এই শাস্তি স্থগিত রাখতে হবে।” প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চ বলে,”নিম্ন আদালতের রায়ের প্রভাব সুদুরপ্রসারী। এর ফলে শুধু যে রাহুল গান্ধীর অধিকার খর্ব হয়েছে তাই নয়, যারা তাঁকে ভোট দিয়েছেন, তাদের অধিকারকেও প্রভাবিত করছে।”
শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশ জেলযাত্রা থেকে রেহাইয়ের পাশাপাশি রাহুলের সাংসদ পদ ফেরানোর পথও প্রশস্ত করল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।