খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২৭ জানুয়ারি, নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে আজও কোনও সমাধানসূত্র বের হল না। পরবর্তী শুনানি ১০ ফেব্রুয়ারি। ওই দিনই শুনানি শেষ করতে চান প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। তারপর রায়দান। গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালতে এসএসসি-তে চাকরি বাতিল মামলার শুনানি ছিল।
আশা ছিল, প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি থাকবে কি না, সেই টানাপোড়েনের মীমাংসা হবে। কিন্তু তা হয়নি। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল ২৭ জানুয়ারি। আজও প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে কোনও সুরাহা হল না। বিভিন্ন পক্ষের সওয়াল-জবাব চলে। ‘যোগ্য’ চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
তাঁর সওয়ালে বাগ কমিটির রিপোর্টের কথা উঠে আসে। গোটা বিষয়টিকে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। অন্যান্য পক্ষের আইনজীবীদের কথাও শোনার বিচারপতিরা। তবে দিনের শেষে তাঁদের একটাই প্রশ্ন, যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কি না? আলাদা করা সম্ভব হলে যোগ্যদের রেখে অযোগ্যদের চাকরি বাতিল হবে।
এরপরই বিকাশের দাবি, এসএসসি জানেই না কাদের নিয়োগ বৈধ! কলকাতা হাই কোর্টে মূল মামলার মামলাকারীদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে, ২০১৬ সালের পরীক্ষার্থীদের ফের পরীক্ষা নেওয়া হোক। কারণ, এটা স্পষ্ট কারা যোগ্য, তাদের আলাদা করতে পারবে না রাজ্য় সরকার। তাই সকলকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। এক্ষেত্রে বয়সসীমা তুলে দেওয়া হোক।
সকল পক্ষে সওয়াল শোনার পর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া কতটা কঠিন, তা-ও জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না। যদিও সুরাহা না মেলায় ১০ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্ষ করেন। প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিল ২০১৬ সালের এসএসসির নিয়োগ প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ওই রায় দিয়েছিল।
তার ফলে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়। হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। পৃথক ভাবে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে দফায় দফায় মামলা করেন হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের কয়েক জনও। গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।