খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৮ অগাস্ট, সিউড়িঃ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে তাঁর বোলপুরের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের নোটিস পাঠিয়েছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। বুধবার এই জমি সংক্রান্ত মামলায় সিউড়ি আদালত বিশ্বভারতীর উচ্ছেদ সংক্রান্ত নোটিসে স্থগিতাদেশ দিল। কিসের ভিত্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের নোটিস জারি করা হয়েছিল, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত।
আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর আবার এই মামলার শুনানি হবে। ওই দিন যাবতীয় নথি হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অমর্ত্যের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জায়গা দখল রেখেছেন অমর্ত্য সেন, এই অভিযোগ এনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি তাঁর প্রতীচী’র ঠিকানায় চিঠি পাঠায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। দ্রুত জমি হস্তান্তরের দাবিও জানায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাল্টা হিসেবে বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রারকে লেখা চিঠিতে অমর্ত্যবাবু দাবি করেন, “উত্তরাধিকার সূত্রে বাবার কাছ থেকে আমি ওই জমি পেয়েছি। এটা আমারই প্রাপ্য। এ নিয়ে বিতর্কের কোনও অবকাশ নেই।”
বিদেশে থাকার কারণে সেই সময় বিশ্বভারতীর ডাকা শুনানিতেও হাজির থাকেননি অমর্ত্যবাবু। এরপরই জবরদখলের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ১৩ ডেসিমেল জমি উচ্ছেদের নোটিস রুজু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। নোটিসে দাবি করা হয়, ওই জমি জনগণের সম্পত্তি। তা দখল করে রাখা যাবে না। সেই নোটিস ‘প্রতীচী’ বাড়ির গেটে সাঁটিয়েও দেওয়া হয়। আদালতেও গড়িয়েছিল মামলা। ওই মামলাতেই এদিন সিউড়ি আদালতের তরফে বিশ্বভারতীকে জমি জবর দখলের অভিযোগ সংক্রান্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।