কড়া নিরাপত্তায় বারাণসীতে জ্ঞানবাপীর জরিপ শুরু

38

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৪ অগাস্ট, বেনারসঃ এলাহাবাদ হাই কোর্টের অনুমতি মিলতেই বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের জরিপ শুক্রবারই সকাল ৭টা নাগাদ পুনরায় শুরু হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের একাংশ ভেঙেই ওই মসজিদ তৈরি হয়েছিল কিনা তা খতিয়ে দেখতে পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণকে বৃহস্পতিবার জরিপের নির্দেশ দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট।

এদিন কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে এএসআই-এর পুরাতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা জ্ঞানবাপী চত্বরে ঢুকে কাজ শুরু করেছেন। যদিও এই রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে মুসলিম পক্ষ। কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার আগেই সমীক্ষার কাজ শুরু করে দিয়েছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া।

মুসলিম পক্ষের দাবি, এই জরিপ আইন বিরুদ্ধ এবং এতে মসজিদের ক্ষতি হতে পারে। যদিও এলাহাবাদ হাইকোর্ট বৃহস্পতিবারের রায়ে স্পষ্ট বলেছে, জরিপের সময় কোনও ধরনের খনন কাজ করা যাবে না। মসজিদের একটি ইটও সরানো যাবে না।

এর আগে গত ২৪ জুলাই শীর্ষ আদালত জেলা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে মামলা এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর নিজেদের অবস্থান জানাবে। তখনই স্পষ্ট হবে জরিপ চলবে কিনা।

এদিকে, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায় এবং জরিপ ঘিরে বারাণসীতে হাই অ্যালার্ট জারি হয়েছে। কাশী বিশ্বনাথ মন্দির এবং জ্ঞানবাপী মসজিদ পরিসরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে ৭ অগাস্ট সোমবার পর্যন্ত। এদিন ভোরবেলা থেকেই জ্ঞানবাপী এলাকায় বিশাল পরিমাণ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়। ঘিরে ফেলা হয় গোটা এলাকা।

হিন্দুপক্ষের দাবি, ঔরঙ্গজেব কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি করেন। অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের প্রশ্ন, বিগত চারশো বছরে এই নিয়ে কোনও মামলা হয়নি। হঠাৎ এই বিবাদ খুঁচিয়ে তোলা হচ্ছে কেন?

প্রসঙ্গত, জ্ঞানবাপীতে গত বছরও একদফা জরিপ হয়েছে। তবে সেই জরিপের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেলা প্রশাসনকে। প্রথমবারের জরিপের সময় মসজিদের অজুখানা থেকে উদ্ধার হওয়া পাখর খণ্ড নিয়ে তীব্র বিবাদ বাধে। হিন্দু পক্ষ দাবি করে পাথর খণ্ডটি একটি শিবলিঙ্গ। অন্যদিকে, মুসলিম পক্ষের দাবি, সেটি অজুখানার ঝর্ণার মুখ।