‘নিজের রিলিফ ফান্ডের টাকায় চাকরিহারাদের বেতন দিন’‌, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

81

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৩ এপ্রিল, কলকাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ রাজ্যের ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। আর এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনকে দায়ী করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে চাকরিহারাদের পাশে থাকতে নিজের রিলিফ ফান্ড থেকে বেতন দিতে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিলেন শুভেন্দু।

বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের রায়দানের পরই তড়িঘড়ি শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নিয়ে বৈঠকে বসেন মমতা। তারপরই সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মুখ্যমন্ত্রী আজ নবান্ন থেকে সরাসরি জানিয়ে দেন, এই ঘটনার পিছনে ষড়যন্ত্র করেছে সিপিএম–বিজেপি। তারই পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌এখন উনি অনেকেরই দোষ দিচ্ছেন। কিন্তু সেই কবে ফরওয়ার্ড ব্লক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া পরেশ অধিকারীর মেয়েকে চাকরি পাইয়ে দিয়েই প্যানেল ভাঙা শুরু হয়েছিল।’‌

শুভেন্দু আরও বলেন, “যখন চিটফান্ডের কারণে কিছু কিছু চ্যানেল বন্ধ হয়ে গেছিল, তখন সাংবাদিকদের নিজের রিলিফ ফান্ডের টাকা থেকে বেতন দিয়েছিলেন। আপনি জানতেন চিটফান্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাই দিয়েছিলেন। এবার প্রায় ১৯ হাজার যোগ্য চাকরিহারাদেরও সেই রকম বেতন দিন। যাতে তাঁরা অর্থকষ্টে না ভোগেন।””

বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘রাজ্য সরকার অযোগ্যদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। অযোগ্যদের জন্য যোগ্যদের বলি দেওয়া হয়েছে।” রাতারাতি ‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে ২৬ হাজার শিক্ষকের। কারণ, ২০১৬ সালের ওই প্যানেলই ‘ভুলে ভরা’ ছিল বলে চূড়ান্ত রায়ে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।

ফলে বৃহস্পতিবার গোটা প্যানেলটাই বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অবৈধ উপায়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের এতদিনের বেতন ১২ শতাংশ সুদ-সহ জমা দিতে বলা হয়েছে। যদিও ছাড় পেয়েছেন বাকিরা। পরীক্ষা দিয়ে প্যানেলে নাম উঠে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের বেতনের টাকা ফেরত দিতে হবে না। আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগের কথা বলেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।