মহালয়ার দিন রেডিওতে এখনও মহিষাসুরমর্দ্দিনী শুনতে ভোলেন না তাপশ গোস্মামী

15

সায়ন সেন, জলপাইগুড়ি: সময়টা ছিলো ১৯৩২ সাল। ওই বছর প্রথম ময়ালয়া উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অল ইন্ডিয়া রেডিওতে থেকে মহিষাসুরমর্দ্দিনী অনুষ্ঠান প্রথম সম্প্রচার করা হয়। তার পর থেকেই মহিষাসুরমর্দ্দিনী অনুষ্ঠান তার সাথে  বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে চন্ডি পাঠ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে। কেবল তাই নয় বেতার ইতিহাসে দীর্ঘতমকাল ধরে সম্প্রচারিত একটি স্থায়ী বেতার অনুষ্ঠান যা আজও মহালয়ার দিন ভোরে সম্প্রচারিত হয়ে আসছে।

তবে বর্তমান হাইটকে জামানায় সাধারন মানুষের ঘরে রেডিওর প্রচলন অনেকটা ফিকে পরলেও মহালয়ার দিন রেডিওতে এখনো মহিষাসুরমর্দ্দিনী শুনতে ভোলেন না বয়েস্ক ব্যক্তিরা। যে কারনে গত একবছর থেকে বিনা আওয়াজে বাড়ির এক কোনে পরে থাকা এই ইলেকট্রনিক যন্ত্রটি রিপেয়ার করতে এবং নতুন রেডিও প্রবনতা নজর কারেছে জলপাইগুড়িতে। স্বাভাবিক ভাবেই দোকান কর্মীরা নাওয়া খাওয়া ভুলে রেডিও ঠিক করতেই এখন বেশী ব্যস্ত। জলপাইগুড়ি শহরের এখন হাতে গোনা দুই থেকে তিনটি দোকেনে রেডিও বিক্রি করা হয়। এই দোকান গুলিতে খারাপ রেডিও ঠিক করার জন্য দিয়ে যাচ্ছেন শহরের বিভিন্ন এলাকা মানুষ।

শহরের রায়কত পাড়ার একটি দোকানের মালিক ভজন দত্ত জানান, তাঁর দোকান থেকে সারা বছর কম বেশী রেডিও বিক্রি হয়। তবে মহালয়ার আগে বিক্রির পরিমান অনেকটাই বাড়ে। তার থেকে বেশী বাড়ে রিপেয়ারিং করার কাজ। এবারও প্রচুর রিপেয়ার করার জন্য প্রচুর রেডিও এসেছে। স্বাভাবিক ভাবেই সারা দিন কাজ করতে হচ্ছে। ভজন বাবু জানান সারা বছর না হলেও মহালয়ার দিন ভোরে অধিকাংশ মানুষ বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দ্দিনী শোনার কথা ভোলেন না। যে কারনে এখনো রেডিও বাঙ্গীর ঘরে আছে।

এদিন শহরের সেনপাড়ার বাসিন্দা ষাটোর্ধ তাপশ গোস্মামী বলেন, সারা বছর রেডিও না শুনলেও মহালয়ার ভোরে এই অনুষ্ঠান তিনি এখনো শোনেন। কবল তাই নয় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ওই ভোরে রেডিও সামনে বসে থাকেন।