জলপাইগুড়ি, ১২ সেপ্টেম্বরঃ দফায় দফায় বৃষ্টির জেরে ফের ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছে উত্তরবঙ্গের দুই নদী—তিস্তা ও জলঢাকা। পাহাড় থেকে নামা জলের প্রবাহে নদীগুলি ফুলে ফেঁপে উঠেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার সেচ দপ্তর তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। পাশাপাশি জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা।
সেচ দপ্তরের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলতে থাকে। এর প্রভাবেই তিস্তার জলস্তর দ্রুত বাড়তে শুরু করে। বাড়তি চাপ সামাল দিতে জলপাইগুড়ির গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে দফায় দফায় জল ছাড়া হয়। সকাল ৯টায় ওই ব্যারেজ থেকে প্রায় ১৪৪৫ কিউমেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানান দপ্তরের আধিকারিকরা।
পরিস্থিতির জেরে মেখলিগঞ্জ থেকে শুরু করে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা কার্যকর করা হয়েছে। সংরক্ষিত এলাকাগুলিতে জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। অন্যদিকে জলঢাকা নদীর জলও উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষত ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন অসংরক্ষিত এলাকায় ফ্লাড কন্ট্রোল রুম থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দুই নদীর জলস্তর ক্রমশ বাড়তে থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীর পাড়বর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দারা। স্থানীয়দের দাবি, প্রতি বছর বর্ষায় এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হলেও পর্যাপ্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাঁদের আতঙ্কে দিন কাটছে। সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে এবং প্রয়োজনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।