বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে শিক্ষা কমিশন, বড় পদক্ষেপ নবান্নর

96

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৭ জুলাই, কলকাতাঃ  স্বাস্থ্য কমিশনের ধাঁচে এবার  শিক্ষা কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর এ সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিক্ষা কমিশনের কাজ কী হবে, সে ব্যাপারে বিস্তারিত খসড়া তৈরি করেছিল শিক্ষা দপ্তর। তার মধ্যে অন্যতম বিষয় হল, বেসরকারি স্কুলের ফি বা বেতন কাঠামো। ওই কমিশনই পরবর্তী কালে ঠিক করে দেবে ছাত্র ছাত্রীদের থেকে সর্বোচ্চ কত বেতন নিতে পারবে বেসরকারি স্কুলগুলি ।  সোমবার রাজ্যের মন্ত্রিসভায় পাশ হয়েছে বেসরকারি স্কুল সংক্রান্ত ওই বিল।

বিলে বলা হয়েছে, এই কমিশনের মাথায় থাকবেন হাই কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। যাঁকে নিয়োগ করবে খোদ রাজ্য সরকার। তাঁরই নেতৃত্বে ওই কমিশন কাজ করবে। তিনি ছাড়া ওই কমিশনের বাকি সদস্যদের মধ্যে থাকবেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা কমিশনার, রাজ্যের শিক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা এবং প্রশিক্ষণ পরিষদ এসসিইআরটির অধিকর্তা, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, মধ্য শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি এবং দু’জন শিক্ষাবিদ।

বিলে বলা হয়েছে, কমিশন বেসরকারি স্কুলগুলির নেওয়া স্কুল ফি বা বেতনের পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেবে। একই সঙ্গে ওই অর্থের অঙ্ক সরকারকেও জানাবে। এ ছাড়া অতিরিক্ত বেতন নেওয়া নিয়ে বেসরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগও শুনবে এই কমিশন। সর্বোপরি, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকারের অনুমতিক্রমে প্রয়োজনে অভিযুক্ত স্কুলগুলির বিরুদ্ধে পদক্ষেপও করতে পারবে কমিশন।

শিক্ষা কমিশন গঠনের ব্যাপারে গত এপ্রিল মাসে রাজ্যের সব দপ্তরের মন্ত্রী ও সচিবদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, যে রাজ্য সরকারের অনেক নির্দেশ মানছে না বেসরকারি স্কুলগুলির একাংশ। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাংলায় শিক্ষা কমিশন গঠন করা যায় কিনা সেই বিষয়টা খতিয়ে দেখার জন্য।

সূত্রের খবর, মূলত রাজ্যের বেসরকারি স্কুলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতেই শিক্ষা কমিশন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। এদিন রাজ্যের মন্ত্রিসভায় ওই বিল পাশ হলেও এখনই এই বিল আইনে পরিণত হচ্ছে না। ওই বিল বিধানসভায় পাশ হওয়ার পর রাজ্যপালের অনুমোদন পেলে তবেই তা আইনে পরিণত হবে।