এবার থেকে আর রাজ্যের হাতে সরাসরি নয় কেন্দ্রীয় বরাদ্দ, টাকা আসবে রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে

597

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৪ অগাস্ট, নয়াদিল্লিঃ এতদিন রাজ্যের হাতে সরাসরি আসত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা। সেই টাকা থাকত বাণিজ্যিক ব্যাংকে, রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের খোলা প্রকল্প-ভিত্তিক নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে। কিন্তু কেন্দ্র এবং রাজ্যের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, খুব তাড়াতাড়িই আমূল বদল আসতে চলেছে সেই পদ্ধতির।

নতুন নিয়মে প্রকল্পের টাকা রাখা থাকবে রিজার্ভ ব্যাংকে। যখন প্রয়োজন, তখনই তা পাওয়া যাবে ঠিকই। কিন্তু আগের মতো তা আর ফেলে রাখা যাবে না অ্যাকাউন্টে। প্রকল্পের প্রতিটি পর্বের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে তা চাইতে হবে হিসাব বুঝিয়ে দিয়ে। শুধু পুরোদস্তুর কেন্দ্রীয় অর্থে পরিচালিত প্রকল্পে নয়, অদূর ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় অনুদানভুক্ত প্রকল্পেও এই ব্যবস্থা দ্রুত চালু হতে চলেছে বলেই প্রশাসনিক সূত্রে খবর।

এই নতুন নিয়ম লাগু হবে সব রাজ্যের জন্যই। সম্প্রতি বাংলায় এক খাতের কেন্দ্রীয় বরাদ্দ অন্য কাজে ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক হয়েছে প্রচুর। বিরোধীরা অভিযোগ জানিয়েছিলেন, রেল দুর্ঘটনার পরে ক্ষতিপূরণ দিতে মিড-ডে মিলের টাকা ব্যবহার করেছে রাজ্য। শুধু তা-ই নয়, অব্যবহৃত টাকা অ্যাকাউন্টে ফেলে রেখে দেওয়ায় বিপুল টাকা সুদও ‘অনৈতিক ভাবে’ ব্যবহার করেছে রাজ্য সরকার।

কিন্তু নতুন নিয়ম চালু হলে, এই দুই কাজই করা কোনও রাজ্যের পক্ষে সম্ভব হবে না। অর্থ দপ্তর অবশ্য দাবি করেছে বিষয়টি পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে। চলছে প্রস্তুতি। চূড়ান্ত নিয়ম-বিধি এখনও হাতে আসেনি। এলে, পদক্ষেপ নেওয়া হবে।কেন্দ্র ইতিমধ্যেই সব রাজ্যকে জানিয়ে দিয়েছে, আপাতত পুরোপুরি কেন্দ্রীয় অর্থে পরিচালিত প্রকল্পগুলি পরিচালিত হবে কোষাগারের একক তহবিল থেকে।

প্রতিটি মন্ত্রকে একটি করে কেন্দ্রীয় নোডাল এজেন্সি তৈরি হবে। তারা রিজার্ভ ব্যাংকে একটি করে অ্যাকাউন্ট খুলবে। অনেকেই মনে করছেন, নতুন নিয়ম চালু হলে, কোনও প্রকল্পের অব্যবহৃত অর্থ রাজ্যের হাতে আর থাকবে না।

প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সব রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকেও অর্থ মন্ত্রক সম্প্রতি লিখিত ভাবে জানিয়েছে, তাদেরও একটি করে অভিন্ন নোডাল এজেন্সি গঠন করতে হবে। কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অব্যবহৃত অর্থ প্রাথমিক ভাবে কেন্দ্রের অভিন্ন তহবিলে ফিরিয়ে দিয়ে আগের সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে। রিজার্ভ ব্যাংকেও খুলতে হবে নতুন অ্যাকাউন্ট। তেমনই আবার রাজ্যের বরাদ্দের অব্যবহৃত অংশ ফিরে আসবে রাজ্যের কোষাগারে।