মনিরুল হক, কোচবিহারঃ আগামী ২৩ ডিসেম্বর সোমবার থেকে কোচবিহার জেলা বইমেলা শুরু হচ্ছে। কোচবিহার রাসমেলা ময়দানে ওই বইমেলা ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে। এদিন কোচবিহার লোকাল লাইব্রেরী অথোরিটি বৈঠক হয়। সেখানে বইমেলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোচবিহার জেলার বইমেলা শুরু হবে ২৩ ডিসেম্বর। ওই বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কোচবিহার জেলা শাসক অরবিন্দ কুমার মিনা। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার লোকাল লাইব্রেরী অথোরিটির সদস্যরা। এবারে প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা বাজেটে এবারে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গেছে, জেলা শাসকের সভাপতিত্বে আজ লোকাল লাইব্রেরী অথোরিটির বৈঠক হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কোচবিহার জেলা বইমেলা রাসমেলার মাঠে ২৩ ডিসেম্বর শুরু হবে, বইমেলা চলবে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ওই বইমেলা বাবদ সরকার আমাদের ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করবেন। এছাড়া বইমেলার স্টল বাবদ আরও ৫-৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। সব মিলে প্রায় ১৭-১৮ লক্ষ টাকা বাজেটে বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে। ১০০ বেশি বিভিন্ন পাবলিশার আসবে। ১২০-র বেশি স্টল থাকবে। এবারে স্থানীয় পাবলিশারদের বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি রাজবংশী, কামতাপুরি ভাষা সহ বিভিন্ন ভাষা একাডেমীর বুকস্টল থাকবে, লিটল ম্যাগাজিন স্টল থাকবে। প্রতিবছরের মতো এবারও সাহিত্যিক অমিয় ভূষণ মজুমদার ও কবি অরুনেশ ঘোষের নামে স্মৃতি পুরস্কার বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২ জন কবি ও সাহিত্যিককে দেওয়া হবে। বইমেলায় প্রতিদিন কোন না কোন কবি, সাহিত্যিকদের নামে মঞ্চ উৎসর্গ করা হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর কবি অরুনেশ ঘোষের জন্মদিন পড়েছেন। এবারও আমরা বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে কবি অরুনেশ ঘোষের নামে সেই দিনটি উৎসর্গ করা হবে। এছাড়া প্রতিদিন কবিতা পাঠের আসর, ভাওয়াইয়া গান সহ বিভিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বইমেলার উদ্বোধনের দিন বন্যাঢ্য শোভাযাত্রা করা হবে। বইমেলায় গ্রন্থাগার মন্ত্রী জেলার সাংসদ, মন্ত্রীদের আমন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে এবিষয়ে লোকাল লাইব্রেরী অথোরিটির সদস্য পার্থ প্রতিম রায় বলেন, কোচবিহার বইমেলা আগামী ২৩ ডিসেম্বর শুরু হবে, ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত বইমেলা চলবে রাসমেলা ময়দানে। বইমেলা বাবদ রাজ্যসরকার ১০ লক্ষ টাকা দেবেন, এছাড়া স্টল বাবদ ৫-৬ লক্ষ টাকা পাওয়া যাবে। সব মিলে ১৭-১৮ লক্ষ টাকা বাজেটে এবারের বইমেলা হবে। এবার ১০০ বেশি বিভিন্ন পাবলিশার আসবে। ১২০-র বেশি স্টল থাকবে। এবারে বইমেলায় স্থানীয় পাবলিশারদের বেশি করে গুরুত্ব দেওয়া হবে। তাছাড়া প্রতিবছরের মতো এবারও সাহিত্যিক অমিয় ভূষণ মজুমদার ও কবি অরুনেশ ঘোষের নামে স্মৃতি পুরস্কার বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২ জন কবি ও সাহিত্যিককে ১০ হাজার টাকা সহ অন্যান্য উপহার সামগ্রী দেওয়া হবে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর কবি অরুনেশ ঘোষের জন্মদিন পড়েছে। আমরা বইমেলা কমিটির পক্ষ থেকে কবি অরুনেশ ঘোষের নামে সেই দিনটি উৎসর্গ করা হবে। এছাড়াও বইমেলার মঞ্চে কবিতা পাঠের আসর, ভাওয়াইয়া গান সহ বিভিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। বইমেলা প্রতিদিন শুরু হবে বেলা ১২ টা থেকে চলবে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত। তারপরেও যদি বই প্রেমিরা মেলায় যতক্ষণ থাকবে ততক্ষন বইমেলা চলবে। বইমেলার শুরুর দিন বন্যাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বইপ্রেমীদের নিয়ে ‘বইয়ের জন্য হাঁটুন’ কর্মসূচী থাকবে। ওই মেলায় রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী, স্থানীয় সাংসদ জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ সহ জেলার বইপ্রেমী মানুষদের আমন্ত্রণ জানান হবে। যাতে বইমেলা এবার সবাঙ্গিক সুন্দর হয়ে ওঠে সেই চেষ্টাই আমরা করবো।
উল্লেখিত, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ দু’বছর আগে এই কোচবিহার বইমেলাটি দিনহাটায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে সে সময় সাধারণ পাঠক ও বিক্রেতাদের মধ্যে একটা অসন্তোষ দেখা দিয়েছিলেন। পাবলিশিং হাউস গুলো বই বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। তাই গত বছর বইমেলা কোচবিহার সদরেই করা হয়েছিল। কিন্তু স্থান পরিবর্তন করে তা রাসমেলার নয়, হয়েছিল এবিএন শীল কলেজের মাঠে।কিন্তু সেখানে বইমেলা ও সাংস্কৃতিক মঞ্চ দুটোই আলাদা জায়গায় হওয়ায় সেবার কিছুটা সমস্যায় পড়েছিলেন বই ব্যবসায়ীরা। তাই এবার সবকিছু মাথায় রেখে কোচবিহার রাসমেলার মাঠে বইমেলা হলে সেই সমস্যা আর হবে না বলে আশা রাখছেন বই বিক্রেতা থেকে বই প্রেমীরা।