‘আমি অসুস্থ হয়ে বিশ্রামে ছিলাম’, ঘটনার চারদিন পরে ক্যাম্পাসে এসে মুখ খুললেন যাদবপুরের রেজিস্ট্রার

130

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৪ অগাস্ট, কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু ঘটনার চারদিন পর সোমবার অবশেষে ক্যাম্পাসে এলেন। গত চারদিন তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি। যদিও চারদিন পর সপ্তাহের প্রথমদিনই ক্যাম্পাসে এলেন তিনি। জানালেন, অসুস্থতার জন্য তিনি আগে ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। ফোনও বন্ধ ছিল।

সোমবার তিনি ক্যাম্পাসে আসতেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন? ফোনে পাওয়া যাচ্ছিল না কেন? সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি অসুস্থ ছিলাম। হাঁটুর ব্যথায় ভুগছি। তাই মঙ্গলবারই মেডিক্যাল লিভ নিয়েছিলাম। চিকিৎসকের কথায় বিশ্রাম নিচ্ছিলাম বলেই ফোন বন্ধ ছিল। তা ছাড়া আমার হাই প্রেসার। অভ্যন্তরীণ কমিটি ঘটনার তদন্ত করছে। পুলিশও তদন্ত করছে। আমি চাই, দোষীরা শাস্তি পাক।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘এ আমার সন্তান চলে যাওয়ার মতো দুঃখ। আমি কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মঙ্গলবার থেকে মেডিক্যাল লিভের জন্য আবেদন করেছিলাম। বুধবার এই ঘটনা ঘটে। আমার ফোন বন্ধ ছিল। আমি জয়েন্ট রেজিস্ট্রার সঞ্জয় গোপাল সরকারকে সমস্ত দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম। বাড়ি থেকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়েছি। এই ঘটনার পর যা যা করার সব রেজিস্ট্রারের অফিস থেকেই করা হয়েছে।’’ কথা বলতে গিয়ে একসময় কেঁদেও ফেলেন তিনি।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি ছিল না বা কেন এক পড়ুয়ার থেকে পলিটিসাইজিংয়ের অভিযোগ পাওয়ার পরও সুপার যাননি? এই সব প্রশ্নের কোনও সোজাসুজি উত্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু দেননি। তিনি সমস্ত বিষয়টিই খোঁজ নিয়ে দেখে তবে মন্তব্য করতে পারবেন বলে জানান। যাদবপুরে বর্তমানে উপাচার্য নেই। উপাচার্যের অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়ভার বর্তায় রেজিস্ট্রারের ওপর। অথচ এতবড় একটা ঘটনা ঘটার চারদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পা দিলেন রেজিস্ট্রার। তাই তাঁর ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।

যাদবপুরের ঘটনাটিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির  নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসি। এ সপ্তাহেই ইউজিসির তরফে প্রতিনিধি দল আসার কথা যাদবপুরে। তার আগে যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে তাঁর লেটার হেডে গোটা ঘটনাটির বিশদ রিপোর্ট জানাতে বলা হয়েছে।