প্রদীপ কুন্ডু, তুফানগঞ্জ : মোবাইল সিম প্রতারণা চক্রে তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল বক্সিরহাট থানা। আজ এই বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন তুফানগঞ্জ এর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক বৈভব বাঙ্গার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সার্কেল ইন্সপেক্টর সদর সঞ্জয় কুমার দাস। তাদের কাছে একটি বেসরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানি থেকে একটি লিখিত অভিযোগ আসে তাদের কোম্পানির নামে একটি অসাধু চক্র কাজ করছে।
যারা কিনা অন্যের আধার কার্ড এর নাম্বার এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে এই সিম গুলিকে চালু করছে। এবং তারপর তা তুলে দেওয়া হচ্ছে সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে একটি প্রতারণা চক্রের হাতে। সাংবাদিক সম্মেলনে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানান, এই চক্রটি দিল্লি আসাম সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতারনা চক্রের হাতে এই সিম গুলিকে তারা তুলে দিত। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে পুলিশ একটি বায়োমেট্রিক ডিভাইস, একটি অ্যাপেল আইফোন ১৩ মডেলের মোবাইল ফোন এবং আরেকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানান এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন জামিনে রয়েছেন।
তবে তিনি আরো আশঙ্কা প্রকাশ করেন এবং সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে এই ঘটনায় পুলিশ বক্সিরহাট থানার অন্তর্গত উত্তর বালাকুটি এলাকার রাহুল রবিদাস, আসামের কাইম মাটি এলাকার সানিবুর খন্দকার এবং বক্সিরহাটের ছোট লাউ কুঠি এলাকার দেবাংশু পালকে গ্রেফতার করে। আদালত সূত্রে খবর তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের হয়েছে।জনসাধারণকে জানান যে তারা যেন প্রত্যেকেই প্রত্যেকের আধার বায়োমেট্রিক লক করে রাখে। যা কিনা একটি সরকারি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই করা হয়। এছাড়াও তিনি আরও আবেদন রেখেছেন কেউ যদি এই ধরনের প্রতারণা শিকার হন অতিসত্বর যেন তারা পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন এই বিষয়ে।