পশ্চিম বর্ধমান, ১৯ জানুয়ারিঃ সাইবার প্রতারণায় খোয়া যাওয়া টাকার ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৪৪ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মানুষের হাতে তুলে দিলেন জামুরিয়া থানার পুলিশ। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের বারাবনি থানা পুলিশের সাফল্যের পর সাইবার ক্রাইমে এবার জামুড়িয়া থানার পুলিশ এর সাফল্য লক্ষ্য করা গেল। এবার সাইবার প্রতারণার ৯ লক্ষ ৫৪ হাজার ৪৪৫ টাকার মধ্যে ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৪৪ টাকা উদ্ধার করে ফেরত দিয়ে দেওয়া হলো প্রকৃত মালিক এর কাছে।
ঘটনার সম্পর্কে জানা যায়, যে জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামের বাসিন্দা মৃন্ময় ঘোষ এর কাছ থেকে ৭ অক্টোবর মুম্বাই সাইবার ক্রাইম দপ্তর থেকে একটি ফোন আসে। সেখানে তারা ফোন করে জানায় যে আপনার আধার কার্ডটি দিয়ে একটি সিম নেওয়ার জন্য অন্যায় ভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। আর ওই সিম ব্যবহার করে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা তছরুপ করা হয়েছে এমনই অভিযোগ করে তাকে ভয় দেখানো হয়।
এবং ওই ব্যক্তির কাছে সমস্ত টাকা ফেরত চাওয়া হয়। এবং জানানো হয় যে আমরা তদন্ত করে আপনার টাকা ফেরত দিয়ে দেব। যদিও ওই ব্যক্তি তৎক্ষনাৎ ভয় পেয়ে যান। এবং উল্টো দিক থেকে আসা ওই নাম্বারের একটি একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু টাকা পাঠানোর কিছুক্ষণ পরেই ফোন লাগালে তাদের ফোন লাগে না এর পরেই তিনি বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
তবে তিনি দেরি না করেই দ্রুত জামুড়িয়া থানার আধিকারিক সৌমেন্দ্র নাথ সিংহ ঠাকুরের কাছে যোগাযোগ করলে তিনি আসানসোল সাইবার ক্রাইমের বিশেষ টিমের সহযোগিতায় খোয়া যাওয়া টাকার মধ্যে ৭ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৪৪ টাকা তিন মাসের মধ্যে উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের হাতে চেক এর মাধ্যমে তুলে দেন। শনিবার ওই ব্যক্তিকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ সেই ফিরিয়ে দেওয়া টাকার চেক সর্বসম্মুখে তুলে দিলেন।
এদিনের এই কর্মসূচিতে বিশেষভাবে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রানীগঞ্জ সার্কেল ইন্সপেক্টর সুশান্ত চ্যাটার্জী, জামুরিয়া থানার ওসি সৌমেন্দ্রনাথ সিংহ ঠাকুর।এদিনের এই প্রতারণা হয়ে যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে স্বভাবতই খুশি মৃন্ময় ঘোষ। তার দাবি পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় তিনি ফিরে পেলেন তার বেশিরভাগ টাকায় তিনি জামুরিয়ার সাইবার বিভাগ ও জামুরিয়ার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তবে এদিন সৌমেন্দ্র সিংহ ঠাকুর জানান, সাইবার অপরাধীরা বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণার জালে ফেলছে তবে সকলকে ধ্যানে রাখতে হবে, যে কোন ভাবে যেন ওটিপি না দেয়। কারণ ওটিপি দিলেই সর্বশান্ত হয়ে পড়ছে অনেকে। তাছাড়া এখন হোয়াটসঅ্যাপে বিভিন্ন রকমের লিংক এর মাধ্যমেও প্রতারণা করা হচ্ছে। সেইসব লিংকেও যেন কেউ ক্লিক না করে।