মাথাভাঙ্গা, ৫ সেপ্টেম্বরঃ আর জি করের প্রতিবাদ সভাকে ঘিরে উত্তেজনা মাথাভাঙ্গা শহরে।ভারতীয় গণনাট্য সংঘ এবং পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের মাথাভাঙ্গা শাখার উদ্যোগে সন্ধ্যায় মাথাভাঙ্গা শহরে সঙ্গীত, অঙ্কণ, আবৃত্তি প্রভৃতির মাধ্যমে আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনের সামিল হলেন সংগঠনের শিল্পীরা। সেদিন সন্ধ্যায় শহরের চৌপথিতে মানববন্ধন, মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে প্রতিবাদ আন্দোলনের সমাপ্তি হয়। স্ট্রিট আর্টের মাধ্যমে শিল্পীরা রাস্তায় প্রতিবাদী ছবি আঁকেন। মূহুর্মূহু উই ওয়ান্ট জাস্টিসের স্লোগান ওঠে।
মাথাভাঙ্গা চৌপথি নাম তিলোত্তমা চৌপথি নামকরণের দাবি ওঠে। অনুষ্ঠান শেষ হতেই সেখানে পৌঁছায় শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা। আর স্ট্রিট আর্টে হাওয়াই চটি থাকায় ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জল দিয়েই স্ট্রিট আর্টে মুছতে শুরু করে তারা। আর সেখানেই আচমকা এক ব্যক্তির উপর চড়াও হয় শাসকদলের কর্মী সমর্থকেরা। প্রকাশ্যেই তাকে মারধর করা হয়। পাল্টা স্লোগান তোলেন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা।
এই বিষয়ে সিপিএম এর কোচবিহার জেলা সম্পাদকের সদস্য মোকসেদুল ইসলাম জানান, গণতান্ত্রিক দেশ ন্যায় বিচারের জন্য আন্দোলন সাধারণ মানুষ করতেই পারেন। শহরের বিশিষ্ট নাগরিকেরাও এই অনুষ্ঠানের যুক্ত হয়েছিল। তবে অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর দলের কর্মী সমর্থকেরা আমাদের মার্কসবাদী কমিউনিস্ট পার্টি ৯/১১ শাখা কমেটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ সাহার ওপর আক্রমণ করে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
অন্যদিকে তৃনমূলের শহর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় জানান, এই আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদে আমরাও মিছিল ও আন্দোলন করছি এবং দোষীদের শাস্তি চাচ্ছি। আমরা সর্বত হয়ে আমাদের সরকারের সাহায্য করছি। এই যে ২০ দিন হল এখনও পর্যন্ত আমরা কোন আপডেট পাচ্ছি না। এর পেছনে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে, এর বিরুদ্ধে আমরা। এরা জাস্টিস ও দোষীদের শাস্তি চাচ্ছে না এরা চাচ্ছে মমতা ব্যানার্জির পদত্যাগ। ক্ষমতা দখলের একটা চেষ্টা করা হচ্ছে পেছন থেকে। এই যে চক্রান্ত এই চক্রান্তের বিরোধিতা আমরা করছি। এই ধরনের উত্তেজনামূলক কোন ঘটনা এখানে ঘটেনি। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃনমূল কংগ্রেস।