কোচবিহার, ১৮ অক্টোবরঃ পানীয় জলের কল আছে কিন্তু জল নেই। সেই দাবিকে সামনে রেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিন কোচবিহার ছাট গুড়িয়াহাটি এলাকার মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় জমায়েত হয় বাসিন্দারা। সেখানে এসে এলাকার লোকজন জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। অবিলম্বে এই পানীয় জল দ্রুত না দিলে আগামী দিনে বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুমকি স্থানীয়দের। এদিন ছাট গুড়িয়াহাটি গ্রামে বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী, মৌসুমি চৌধুরী, রঞ্জনা বর্মণ, নুরুল হক, সোমা দেব, অর্পিতা দেবশর্মা, রাজু মাহাতো সহ আরও অনেকে।
জানা গেছে,কোচবিহার জেলার ছাট গুড়িয়াহাটি গ্রামের প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা রয়েছে। সেই বাসিন্দাদের জন্য নেতাজী স্কোয়ারের মন্দিরের গলির ভিতর একটি পানীয় জলের রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। সেই রিজার্ভারের কাজ শেষ হলেও জলের মেশিন এখনও হয়নি। কিন্তু রিজার্ভার তৈরির ১ বছর আগে বাড়ি বাড়ি জলের স্ট্যান্ড পোস্ট দেওয়া হয়েছে। সেগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের গ্রামের ৮০ শতাংশ মানুষ গরীব। তারা খাবার জল না পেয়ে জল কিনে খাচ্ছে। রিজার্ভার হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৯ মাস ধরে নাগরিকরা পানীয় জল থেকে বঞ্চিত। এখনও কিছু জায়গা জলের পাইপ লাইন বসেনি এবং কিছু বাড়িতে স্ট্যান্ড পোস্ট পায়নি। সেই নিয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, চিফ ইঞ্জিনিয়ার, সুপারেনটেনডেন্ট (পি,এইচ,ই), জেলা শাসক, এসডিও, বিডিওকে এবং কোচবিহার কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানিয়ে কোন কাজ হয় নি। তাই আজ আমরা ছাট গুড়িয়াহাটি গ্রামের নাগরিকরা মিস্ত্রিপাড়া এলাকায় জমায়েত হয়ে পানীয় জলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পাশাপাশি পানীয় জল দ্রুত না পেলে আগামী দিনে বৃহত্তম আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে জানান স্থানীয়রা বাসিন্দারা।
এদিন এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী জানান, ছাট গুড়িয়াহাটি গ্রামের কয়েক হাজার নাগরিকের বসবাস। সেই লোক গুলোর জন্য একটি রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। আগে জল আমরা পেতাম কিন্তু তিন মাস ধরে কোন জল পাচ্ছি না। এখানে যারা বসবাস করে তারা সকলে গরীব মানুষ। জল না পেয়ে তারা জল পয়সা দিয়ে জল কিনে খাচ্ছে। তাই আমরা চাই খুব দ্রুত জলের ব্যবস্থা করুক, তা নাহলে আমরা আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
অন্যদিকে গ্রামের বাসিন্দারা জানান, আমাদের জল নিয়ে সমস্যা। জলের অপর নাম জীবন, তাই আমরা জল ছাড়া বাঁচতে পারবো না। তিন মাস ধরে আমরা জল পাচ্ছি না। আমাদের বাড়ির পুরুষরা কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছে। তাই জল নিয়ে আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। এলাকায় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েও কোন কাজ হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা পানীয় জলের দাবিতে আজ বিক্ষোভ দেখাচ্ছি বলে জানান তিনি।