কোচবিহার, ২১ মেঃ পুলিশ নিজেদের মধ্যেই গ্রুপ তৈরি করছে। পুলিশের ‘গ্রুপবাজি’অভিযোগ নিয়ে এবার সরব হলেন খোদ পুলিশমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে একথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন ওই প্রশাসনিক বৈঠকে সীমান্তবর্তী জেলার ডিএম, এসপিদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে পুলিশমন্ত্রী কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোচবিহারে একজন হেডকোয়ার্টারে ডিএসপি বা কিছু একটা আছে। চন্দনবাবু বলে কেউ আছেন ? তিনি কি এসেছেন মিটিংয়ে ? কেন আনেননি তাঁকে? হেড কোয়ার্টার দেখে, তাকে কোনও কাজ দাও না। ইজ ইট নট অ্যা ফ্যাক্ট! না কাজ করে না। তুমি তাকে কাজ করতে দাও না। ওকে কাজে লাগাও, দিনহাটায় কাজে লাগাও, শীতলকুচিতে কাজে লাগাও। বর্ডার এলাকায় কাজে লাগাও।
তিনি আরও বলেন, হেড কোয়ার্টারে বসিয়ে রাখলে,চা বিস্কুট খেল আর বাড়ি চলে গেল, সে কাজ করতে চায়, তুমি কাজ করতে দেবে না। এটা আবার কী। তোমরা নিজেরা যদি নিজেদের মধ্য়ে গ্রুপ তৈরি করে নাও তাহলে…। আমাদের পলিটিকাল লোকজন গ্রুপ করে বেশি। এটাই জেনে এসেছি এতদিন’। তিনি নিজেই পুলিশমন্ত্রী। এবার পুলিশের মধ্যেই গ্রুপবাজির অভিযোগ তুললেন তিনি। এমনকী এনিয়ে তিনি সতর্ক করে দেন।
পাশাপাশি এদিন সীমান্তবর্তী জেলার ডিএম, এসপিদের আরও বেশি সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সীমান্তবর্তী জেলার থানার সব আইসি-ওসিদের চোখ কান খোলা রেখে কাজ করার কথা বলেছেন মমতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান,কোচবিহার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর-সহ অন্যান্য জেলায় চার-পাঁচটি দেশের সীমান্ত রয়েছে। এই এলাকাগুলি ‘খুবই স্পর্শকাতর’। জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, “এই এলাকাগুলি খুবই স্পর্শকাতর। খুব মন দিয়ে কাজ করতে হবে।”
শীতলকুচির কৃষককে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ও উঠে এসেছে সভায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নিজের জমিতে চাষ করছিলেন বেচারা। তাঁকে ধরে নিয়ে যায়। উদয়নের কাছ থেকে জানার পর আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সীমান্তবর্তী এলাকাগুলি খুবই স্পর্শকাতর, সতর্ক থাকতে হবে।”