খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৫ অগাস্ট, কলকাতাঃ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বুধবার তাঁর নদিয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। বুধবার তৃণমূলের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল যাবেন মৃত পড়ুয়ার হাঁসখালির বগুলা গ্রামের বাড়িতে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে।
প্রতিনিধি দলে থাকছেন সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও যুব সংগঠনের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। দলীয় সূত্রের খবর, আগামীকাল বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ তৃণমূল ভবন থেকে রওনা দেবে পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধি দল। মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় শোক প্রকাশের পাশাপাশি পরিবারের পাশে থাকার বার্তা তুলে দেবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সূত্রের খবর, দলনেত্রীর নির্দেশেই তাঁর বার্তা পৌঁছে দিতে নিহত ছাত্রের বাড়িতে যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, ‘যাদবপুর এখন আতঙ্কপুর। ছেলেটাকে যারা হস্টেলের উপর থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে, তারা সব মার্কসবাদী। এরা কখনও বিজেপি, কখনও কংগ্রেস।’
স্বপ্নদীপের মৃত্যুর পরেই তাঁর বাবাকে ফোন করে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই গতকাল তিনি এই মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভ উগরে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পরেই মঙ্গলবার জানানো হয়, মন্ত্রী-সাংসদদের নিয়ে তৈরি ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল বুধবার বগুলায় যাচ্ছে।
ইতিমধ্যে নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বও ঘুরে এসেছেন। যাদবপুরের হস্টেলে ছাত্রের মৃত্যু তদন্তে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন।
ওই মৃত ছাত্রর বাড়িতে যাওয়ার পর রাজ্য কমিশন জানিয়েছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল ওই ছাত্রকে। পরিবারের দাবি, তাঁর গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল। নির্মম ভাবে মারধর করা হয়েছিল। সমকামী বলে দাবি করে একাধিক বার হেনস্থা করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।