“উৎসবের রঙে সংগঠনের জোর, সাতমাইলের বিজয়া সম্মেলনী থেকে আগামী লড়াইয়ের ডাক দিলেন অভিজিৎ দে ভৌমিক”

71

চান্দামারি, ১৬ অক্টোবরঃ কোচবিহার জেলার দক্ষিণ বিধানসভার সাতমাইল এলাকায় অনুষ্ঠিত হল তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলনী,যেখানে রাজনীতি ও উৎসব মিলেমিশে তৈরি করল এক আলাদা আবহ। জেলার বিভিন্ন ব্লক ও অঞ্চল থেকে শতাধিক কর্মী-সমর্থক এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে প্রমাণ করলেন সংগঠনের মাটির শক্তি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃনমূল নেতা রাজীব ব্যানার্জি, তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। তাঁর পাশাপাশি জেলা ও ব্লক স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব, পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারীরাও মঞ্চ অলংকৃত করেন। শুধুমাত্র শুভেচ্ছা বিনিময় বা ভুরিভোজের অনুষ্ঠানে সীমাবদ্ধ না থেকে, এই বিজয়া সম্মেলনী পরিণত হয় এক সাংগঠনিক পুনর্মিলনী ও কৌশল নির্ধারণের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে।

বিশেষ উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি ছিল শুটকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩৬ নম্বর বুথের বড় এলাজান এলাকার নেতৃত্বদের। বুথ সভাপতি ইয়ানুর রহমান ও পঞ্চায়েত সদস্য হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে প্রায় ৪০০ কর্মী বৃহৎ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন, যা স্থানীয় সংগঠনের শক্তিকে চোখে আঙুল দিয়ে তুলে ধরে।

ওই বিজয়া সম্মেলনীতে মঞ্চে বক্তব্য দিতে গিয়ে বক্তারা বলেন, উৎসবের এই সময় শুধুমাত্র মিলন নয়, বরং সংগঠনের ভিত আরও মজবুত করার এক সুবর্ণ সুযোগ। আগামিদিনের রাজনৈতিক কর্মসূচি, মানুষজনের পাশে থাকার অঙ্গীকার, ও সমাজের বিভিন্ন স্তরে দলের কার্যক্রম বিস্তারে বিশেষ দিকনির্দেশও দেওয়া হয়।

এদিন জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক তাঁর বক্তব্যে জানান, “তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের দল। উৎসবের আনন্দের মধ্য দিয়েই আমরা আগামী দিনের লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি।” তিনি কর্মীদের উৎসাহিত করে বলেন, প্রতিটি বুথকে আরও শক্তিশালী করাই এখন মূল লক্ষ্য।

সামগ্রিকভাবে, সাতমাইলের এই বিজয়া সম্মেলনী শুধু উৎসবের রং নয়, বরং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রণকৌশলের এক উজ্জ্বল মঞ্চ হয়ে উঠল। কোচবিহারের মাটিতে তৃণমূল কংগ্রেস যে এখনও সুসংগঠিত ও সক্রিয়, তারই এক বাস্তব প্রমাণ রইল এই সম্মেলনীতে।