খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৭ অগাস্ট, কলকাতাঃ প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জবাব তলব করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি। রবিবারই এ প্রসঙ্গে একটি রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। যাদবপুর কর্তৃপক্ষ সোমবার সেই রিপোর্ট পাঠানোর পর দাবি করেছিলেন, তাঁদের পাঠানো তথ্যে ‘সন্তুষ্ট’ ইউজিসি।
বৃহস্পতিবার ফের যাদবপুরের কাছে একগুচ্ছ তথ্য চেয়ে পাঠিয়ে ইউজিসি জানিয়ে দিয়েছে, আগের পাঠানো রিপোর্টে তারা ‘সন্তুষ্ট’ নয়। মোট ১২টি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে। মূলত র্যাগিং ঠেকাতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল, সেই সম্পর্কে তথ্য ও সংশ্লিষ্ট নথি চেয়ে পাঠিয়েছে ইউজিসি। র্যাগিং-এর বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হত কি না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, হস্টেলে র্যাগিং-এর শিকার হতে হয়েছিল ওই পড়ুয়াকে। ইতিমধ্যেই ইউজিসি-র তরফে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ইউজিসি-র সব নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
র্যাগিং আটকাতে হেল্পলাইন নম্বর খোলা ছিল কি না, আদৌ সেই নম্বর নতুন পড়ুয়াদের দেওয়া হয়েছিল কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। র্যাগিং-এর শিকার হলে পড়ুয়াকে কী করতে হবে, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে সতর্ক করা হয়েছিল কি না, সেই প্রশ্নও রাখা হয়েছে। কী শাস্তি হতে পারে সে ব্যাপারে পড়ুয়ারা আদৌ ওয়াকিবহাল ছিলেন কি না, জানতে চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নবীনদের সঙ্গে প্রবীণ পড়ুয়াদের পরিচয় করানোর জন্য কোনও অনুষ্ঠান (ওরিয়েন্টেশন)-এর আয়োজন করা হয়েছিল কিনা তাও জানাতে বলা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের কি হস্টেলের আলাদা ব্লকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল? ওই ব্লকে কোনও সিনিয়র ছাত্র যাচ্ছেন কি না, তা নজরে রাখার ব্যবস্থা কি হয়েছিল? পড়ুয়াদের হস্টেলের ঘর বণ্টনের বিষয়ে বিশদে জানাতে হবে ইউজিসিকে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউজিসিকে জানাতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। আর গত পাঁচ বছরে এই সংক্রান্ত কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা আগামী ১০ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে। চিঠির উত্তর খতিয়ে দেখে তারপর ইউজিসি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেবে। সূত্রের খবর, এবার সন্তোষজনক জবাব না পেলে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে ইউজিসি।