৮৭-তে থামল পথচলা, প্রয়াত অভিনেতা মনোজ কুমার

37

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৪ এপ্রিল, মুম্বই: প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা মনোজ কুমার। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। শুক্রবার ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। অভিনেতা বয়সজনিত সমস্যায় রোগে ভুগছিলেন বহুদিন ধরেই। একাধিকবার ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। বর্তমানে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই অম্বানি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর।

শুক্রবার ভোরে সেখানেই শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, লিভার সিরোসিরের কারণেই এই মৃত্যু। মনোজ কুমারের ছেলে কুণাল গোস্বামী জানান, আগামিকাল সকালে তাঁর বাবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। মনোজ কুমারের প্রয়াণে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এক্স (সাবেক টুইট) হ্যান্ডলে মোদি অভিনেতার সেই সব ছবির নাম উল্লেখ করেছেন যেখানে দেশভক্তির বিষয়টি প্রতিটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে। এও জানিয়েছেন, পর্দায় মনোজ কুমার যে ভাবে দেশের প্রতি ভালবাসা জানিয়েছেন, দেশ এবং দেশবাসী তা আজীবন মনে রাখবে। মনোজ কুমারের অভাব পূরণ করা শক্ত। তিনি সদ্যপ্রয়াত অভিনেতার পরিবারকেও সমবেদনা জানান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে লেখেন, “প্রবীণ অভিনেতা এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মনোজ কুমারের মৃত্যুতে আমি শোকাহত। দেশাত্মবোধক চলচ্চিত্রের জন্য খ্যাত তিনি। তাই ‘ভারত কুমার’ বলে সম্বোধন করা হত তাঁকে। নিজের দেশের প্রতি ভালবাসা শেষ দিন পর্যন্ত ধরে রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যু আমাদের চলচ্চিত্র জগতের জন্য এক বিরাট ক্ষতি।”

১৯৩৭ সালে মনোজের জন্ম পঞ্জাবি ব্রাহ্মণ পরিবারে। পিতৃদত্ত নাম হরিকৃষ্ণ গোস্বামী হলেও ছবির জগতে সে যুগের ধারা মেনে তিনি নিজেকে মনোজ কুমার বলে পরিচয় দিতেন। ১৯৫৭ সালে বলিউডে তাঁর পদার্পণ। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ একের পর এক ছবিতে ছবিতে কাজ করে তিনি পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। তাঁর ঠোঁটে ‘মেরি দেশ কি ধরতি’ আজও ভারতবাসীর রক্তে দোলা লাগায়। ‘উপকার’, ‘পুরব পশ্চিম’, ‘রোটি কাপড়া আউর মকান’, ‘ক্রান্তি’-র মতো ছবিতে তাঁর অভিনয় দাগ কেটে গিয়েছিল দর্শকদের মনে।

অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাতেও মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিচালিত অন্যতম সিনেমাগুলির মধ্যে রয়েছে,‘দো বদন’, ‘পাত্থর কে সনম’, ‘নীল কমল’ প্রভৃতি। কর্মক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯২ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার পান তিনি। ১৯৯৯ সালে পেয়েছেন ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড।২০১৫ সালে তাঁকে দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়।