খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৭ ফেব্রুয়ারিঃ বিএসএফের কারণে গ্রামে কেউ নতুন আত্মীয়তার সম্পর্ক করতে চাচ্ছে না। আত্মীয়রা গ্রামে এলে বিএসএফের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছে নতুন করে আর আসতে চাচ্ছে না। এমনকি কারণে অকারণে বিএসএফ দ্বারা গ্রামবাসীদের হেনস্থা হতে হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ পেয়ে দিনহাটা এক নং ব্লকের গীতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম পয়াসতি গ্রামে গ্রামবাসীদের সাথে কথা বলতে এলেন ৯০ ব্যাটেলিয়ন বিএসএফের ঊর্ধ্বতন আধিকারিকেরা।
এদিন স্থানীয় ভোরাম পয়াসতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিএসএফ আধিকারিক এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় এক বিশেষ আলোচনা সভা। আলোচনায় গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রিতা রায়,কবুল মিয়া সহ গ্রামবাসীরা বিএসএফের অধিকারীকের সামনে তাদের দুর্দশার কথা তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিএসএফকে তাদেরকে কেন সরিয়ে সীমান্তের পাশে ডিউটি করার কথাও জানানো হয়। গ্রামবাসীদের সেই দাবিকে মান্যতা দেয় বিএসএফ আধিকারিক। আলোচনা শেষে গ্রামবাসীরা জানায় বিএসএফ আধিকারিক তাদের সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে আগামী মার্চ মাস থেকে সীমান্তের পাশেই বিএসএফ জওয়ানদের ডিউটির কথা উল্লেখ করেন। আর বিএসএফের এহেন সিদ্ধান্তে খুশি গ্রামবাসীরা।
প্রসঙ্গত,গীতালদহ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোরাম পয়াসতি গ্রাম সীমান্ত থেকে অনেকটাই দূরে। কিন্তু বিএসএফ সেই গ্রামের আগেও তাদের ক্যাম্প বসিয়ে সেখান থেকেই নজরদারি চালায়। ফলে গোটা গ্রামের বাসিন্দাদেরকেই সকাল সন্ধ্যা সবসময় বিএসএফের অনুমতি নিয়েই যেমন গ্রাম থেকে বের হতে হয় তেমনি গ্রামে প্রবেশ করতে গেলেও বিএসএফের অনুমতি লাগে। আর এর ফলে একদিকে যেমন গ্রামবাসীদের নিত্যদিনের জীবনযাপনে সমস্যা দেখা দেয় ঠিক তেমনি গ্রামে কোন নতুন আত্মীয় এলে তাদের কেউ গ্রামে ঢুকাতে অনেকটাই ঝামেলা পোহাতে হয় গ্রামবাসীদের।