খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৪ এপ্রিল, নয়াদিল্লি: লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে গেল ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’। ম্যারাথন বিতর্ক শেষে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৮টি, বিপক্ষে ৯৫টি। প্রায় ১২ ঘন্টার আলোচনার শেষে এই বিলটি পাশ করার প্রস্তাব রাখা হয়। এরপর ধ্বনিভোটের মাধ্যমে মাঝরাতে পাশ হয়ে যায় বিলটি। এখন শুধুই রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের অপেক্ষা, তারপরেই কার্যকর হবে নতুন এই আইন।
১৯৫৪ সালের আইনকে সংশোধন করে ১৯৯৫ সালে ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ৩০ বছর পরে যে সংশোধনে সিলমোহর দিল ভারতীয় সংসদ, তাতে বোর্ডের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতার খোলনলচে বদলে যেতে চলেছে। সব ক’টি বিরোধী দলেরই দাবি, ওয়াকফ আইনের এই সংশোধন ওয়াকফ বোর্ডের ক্ষমতাকে বেনজির ভাবে খর্ব করে দিচ্ছে।
ভাষণের সময় কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু মন্ত্রী কিরেন রিজিজু বলেন, “কেউ কেউ বলছেন, আমরা এই বিলের মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখাচ্ছি। কিন্তু ভয় আমরা দেখাচ্ছি না। ভয় আপনারা দেখাচ্ছেন। সিএএর সময়েও অনেকে ভয় দেখিয়েছিলেন। বলেছিলেন, সিএএ পাশ হলেই অনেকের নাগরিকত্ব চলে যাবে। কিন্তু সিএএ পাশ হওয়ার পরে তেমন কিছু হয়নি। ওয়াকফ বিলের ক্ষেত্রেও আগে থেকে অনেকে ভয় দেখানোর কাজ করছেন। কিন্তু বিল পাশ হওয়ার পর দেখবেন, আগামী কাল থেকেই একে কী ভাবে স্বাগত জানানো হয়।”
এদিকে রাজ্যসভায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়াও প্রকাশ্যে এই বিলকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, এই বিলে মুসলিম ধর্মীয় রীতিনীতিতে হস্তক্ষেপ করা হয়নি বরং কেবল ওয়াকফ সম্পত্তির প্রশাসন ও রাজস্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘নতুন ওয়াকফ বিল মুসলিমদের ধর্মাচরণে কোনও ভাবেই হস্তক্ষেপ করছে না।’ অপরদিকে বিল নিয়ে আলোচনার সময় কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেন এবং বলেন যে এটি সংখ্যালঘুদের হয়রানির ষড়যন্ত্র।