ছেলের আমৃত্যু কারাদণ্ড, রায় শুনে কী প্রতিক্রিয়া সঞ্জয়ের মায়েয়?

254

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ২০ জানুয়ারি, কলকাতা: আর জি কর তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুন মামলায়  ফাঁসি নয়, আমৃত্যু কারাদণ্ড হল সঞ্জয় রায়ের। এই রায় ঘোষণা নিয়ে সকাল থেকেই উৎকণ্ঠায় ছিলেন সঞ্জয়ের পরিবারের লোকজন। প্রতি মুহূর্তে নজর রেখেছিলেন টেলিভিশনের পর্দায়। সওয়াল জবাব শেষে বিচারক অনির্বাণ দাস সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় যেন কিছুটা স্বস্তিতে সঞ্জয়ের বোন। এই প্রেক্ষিতে মা কী প্রতিক্রিয়া দেন, তা জানতেই আগ্রহী ছিলেন সকলে। কিন্তু মুখ খোলা তো দূর, সবটা শুনেও নিরুত্তাপ সঞ্জয়ের মা। এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন না সঞ্জয়ের পরিবারের কেউই। গ্রেপ্তারির পর থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে সঞ্জয়ের সঙ্গে একবারও দেখা করেননি তাঁরা।

মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই বলে আদালতে দাঁড়িয়ে নিজেই খোদ দাবি করে সঞ্জয়। তবে তা সত্ত্বেও দুপুর সাড়ে বারোটা থেকে টেলিভিশনের পর্দায় নজর ছিল সঞ্জয়ের বোনের। এর আগে সঞ্জয়ের দিদি দাবি করেছিলেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হলেও উচ্চ আদালতে যাবেন না। নির্যাতিতার পরিবারের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। তবে সোমবার দাদার মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন সঞ্জয়ের বোন।

রায় ঘোষণার পর তিনি বলেন,, “আদালত যা মনে করেছে সে অনুযায়ী রায় দিয়েছে। আমরা এখনও বিশ্বাস করি সঞ্জয় একা দোষী নয়। অধ্যায় শেষ হল না। এখনও সময় আছে। সকলের উচিত সবাই মিলে আসল সত্য খুঁজে বের করা।” অন্যদিকে এদিন সকাল থেকেই ৫৫ বি শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিটে সঞ্জয় রায়ের বাড়ির গলি ছিল কার্যত থমথমে।

ছেলের জন্য রায় ঘোষণা করবে আদালত, তা জেনেও মা নিরুত্তাপ ছিলেন। বাড়ির দরজা সকাল থেকেই বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেন নি। ছেলের রায়দানের পরও তিনি গৃহবন্দি হয়েই কাটালেন। মায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে খালি হাতেই ফিরতে হল সংবাদ মাধ্যমকে। বাইরে থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা বার বার জিজ্ঞাসা করেন, মাসিমা সঞ্জয়ের ফাঁসি হচ্ছে না কী বলবেন? কার্যত বন্ধ ঘরের বাইরে থেকে চিৎকার করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ভেতর থেকে কোনও উত্তর মেলেনি।