খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ১৩ জানুয়ারি, রায়গঞ্জ: হুইল চেয়ার না মেলায় কার্যত বাধ্য হয়েই অসুস্থ স্বামীকে পিঠে চাপিয়ে সরকারি হাসপাতালের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে বাধ্য হলেন স্ত্রী। সোমবার দুপুরে এই অসহায় ছবি ধরা পড়েছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে । এই ছবি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ।
যদিও রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপারের দাবি, হাসপাতালে পর্যাপ্ত হুইল চেয়ার রয়েছে ৷ জানা গিয়েছে রায়গঞ্জ ব্লকের রায়পুর গ্রামের বাসিন্দা পরিতোষ বর্মন। ৪-৫ দিন আগে কাজ করতে গিয়ে পা ভাঙে তাঁর। সোমবার টোটোতে চেপে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন চিকিৎসা করাতে ।
হাসপাতালের সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনের সামনে টোটো দাঁড়ানোর পর রোগীকে নামাতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হয় পরিতোষের স্ত্রী সলিতা বর্মনকে । তাঁর অভিযোগ, সেই সময় হাসপাতালে কোনও হুইল চেয়ার ছিল না ৷ তাই অগত্যা স্বামীকে পিঠে চাপিয়ে তিনি হাসপাতালের ভিতর নিয়ে আসেন ৷
সলিতা বলেন, টিকিট কাটার পরে হুইল চেয়ার পাইনি। কারোর কাছে সাহায্য চেয়েও পাইনি। টোটোকে ছেড়ে দিয়েছি। কোনও উপায় না পেয়ে শেষমেশ আমি স্বামীকে পিঠে চাপিয়ে নিয়ে ভবনের ভেতরে আসি । ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়ার পর আবার সেখান থেকে স্বামীকে পিঠে নিয়ে সিটিস্ক্যান করাতে যেতে হয় আমাকে।
যদিও সুইঢ় চেয়ার না মেলার অভিযোগ মানতে চাননি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের সুপার প্রিয়ঙ্কর রায়। তিনি বলেন, “হুইল চেয়ার যথেষ্ট পরিমাণে আছে। একটু ধৈর্য্য করে অপেক্ষা করলে নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে। স্ট্রেচার, ট্রলি যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। তবুও আমরা বিষয়টি দেখব।”