খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৯জুন, মাথাভাঙ্গা: মদ্যপান নিয়ে পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনার ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল স্বামীরও। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটা নাগাদ স্বামী রতন দাসের (৫৫) ঝুলন্ত দেহ স্থানীয়দের নজরে আসে। মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাদলেরকুঠির ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মদ্যপান নিয়ে নিত্যদিন স্ত্রী টুলটুলির সঙ্গে অশান্তি চলত রতনের। এই নিয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবেশীরা। বুধবার রাতেও স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তিতে জড়িয়ে পড়ে রতন। বচসা চলাকালীনই রতন দা দিয়ে পরপর দু’বার কোপ মারেন স্ত্রীকে। রক্তান্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন টুলটুলি। দুই সন্তানের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে রতন পালিয়ে যায়। প্রতিবেশীরাই গুরুতর জখম অবস্থায় টুলটুলিকে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরবর্তীতে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এদিন দুপুর পর্যন্ত রতনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিকেল নাগাদ বাড়ির পাশে একটি বাগানের গাছে তাঁর দেহ ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা। খবর যায় মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা দিলীপ দাসের বক্তব্য, পারিবারিক অশান্তি নিয়ে রতনকে অনেকবার সাবধান করা হয়েছিল। কিন্তু সে শোধরায়নি। ঘটনার নির্মম পরিণতির সাক্ষী থাকলেন এলাকার মানুষ।