খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক ৪ এপ্রিল, কলকাতা: বৃহস্পতিবার ২০১৬ সালের এসএসসিতে নিয়োগের পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরি হারিয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রায় শোনার পরপরই তড়িঘড়ি নবান্নে বৈঠক সারেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, মুখ্যসচিব মনোজ পন্থদের নিয়ে।
তার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে মমতা বলেন, রাজ্য সরকার বঞ্চিত-যোগ্যদের পাশে আছে। ঠিক একই কথা শোনা গেল এদিন ব্রাত্য বসুর গলাতেও। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন, আমরা যোগ্য-বঞ্চিত যাঁরা আছেন, তাঁদের পাশে আমরা থাকব। মানবিকভাবে থাকব। রাজনৈতিকভাবেও থাকব। যেটা বলা হচ্ছে টেইন্টেড এবং আনটেইন্টেড, বা একজনের বেতন ফেরত দেওয়া হবে আর একজনের বেতন ফেরত দেওয়া হবে না, এই কথাগুলো তো আমার কথা নয়।
এগুলো মহামান্য বিচারপতির রায়ের প্রতিটি পাতায় আছে। আঠাশ নম্বর অণুচ্ছেদে স্পষ্ট করে আছে। অর্থাৎ যা বলা হচ্ছে, তা তো এসএসসির দেওয়া তথ্য থেকেই বলা হয়েছে। অর্থাৎ যোগ্য-অযোগ্যের তালিকা যে এসএসসি ভাগ করতে পারেনি, সেই কথাটা ঠিক নয়। এটা ঠিক সেই তথ্যে আদালত সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কিন্তু নিশ্চিতভাবে প্রধান বিচারপতির রায়ের পর আমরা বুঝতে পারছি। এবং যাঁরা যোগ্য-বঞ্চিত তাঁদের প্রতি একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে সব তরফ থেকে বেরোয়, আমি সেই আবেদনও করব। আমি শুধু একটাই কথা বলব, মাননীয় মুখমন্ত্রীর উপর ভরসা রাখুন।”
অন্যদিকে এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তিনি বলেন, “আইনি ব্যাখ্যা না নিয়ে পদক্ষেপ করতে পারব না। প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি।” যদিও ব্রাত্য বলছেন, এসএসসি তাঁদের কাছে কোনও সাহায্য চাইলে তাঁরা করতে প্রস্তুত। কিন্তু, সব সাহায্যেই করা হবে আইনি পরামর্শ নিয়ে।
তিনি বলেন, “যাঁরা যোগ্য এবং বঞ্চিত তাঁদের জন্য একটা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি যাতে সব তরফ থেকে বের হয় আমি সেই আবেদনও এই সূত্রে করব। রিভিউ পিটিশনের মতো টেকনিক্যাল, লিগ্যাল বিষয়গুলি এসএসসি-র ব্যাপার। ওরা ওদের মতো আইনি প্রক্রিয়ায় করবে। যদি আমাদের কাছে আইনি সাহায্য চায় তাহলে আমরা এ বিষয়ে আমরা অবশ্যই দেব। কিন্তু আইনি সাহায্য নিয়েই দেব। আমি সমস্ত শিক্ষককে বলব মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যখ্যা দিয়েছেন তার উপর ভরসা রাখুন।”