শীতলকুচি, ১৫ অক্টোবরঃ ছাগলকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির ঘটনা ঘটল শীতলকুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ছোট শালবাড়ি চর এলাকায়।ছাগল সুপারি গাছের চারা নষ্ট করায় প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদে জড়ান এক মহিলা। সেই বিবাদ ক্রমে রূপ নেয় রক্তাক্ত সংঘর্ষে।অভিযোগ, ছাগল মালিকের পরিবারের হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিরোন বর্মন (৪২)। তাঁর স্বামী উকিল বর্মন স্থানীয় চাষি। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিরোন বর্মনের বাড়ির পাশে যমুনা বর্মনের কয়েকটি ছাগল প্রায়ই মাঠে গিয়ে ফসল ও চারা গাছ খেয়ে নষ্ট করত। মঙ্গলবার সকালেও একই ঘটনা ঘটে। নিরোন বর্মনের লাগানো সুপারি চারার গাছ খেয়ে ফেলছিল যমুনার ছাগল। বিষয়টি নিয়ে নিরোন প্রতিবাদ জানাতে গেলে দুই পরিবারের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়।
অভিযোগ, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে যমুনা বর্মন ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন লাঠি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে নিরোন বর্মনের উপর চড়াও হন। ঘটনাস্থলেই তিনি গুরুতরভাবে আহত হন। প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শীতলকুচি থানার পুলিস। তবে, ততক্ষণে অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে।মৃতার স্বামী উকিল বর্মন অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের সুপারি গাছ নষ্ট করছিল প্রতিবেশীর ছাগল। স্ত্রী সেটা নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিল। তখনই ওদের পরিবারের লোকজন মিলে আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলে।” তিনি দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন।
শীতলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক অ্যান্থনি হোড়ো জানান, “দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”ছোট শালবাড়ি চর এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও ক্ষোভ ছড়ায়।ছাগলকে ঘিরে এমন মর্মান্তিক পরিণতি গোটা গ্রামকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে মারধর জনিত আঘাতেই মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে শীতলকুচি থানার পুলিস।




