খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৮ অগাস্ট, কলকাতা: পুজোর পর ফের রাজ্যে বসতে চলেছে আরও একটি বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। তার আগে আরও একটি সুখবর। বিশ্বব্যাংক বাংলার শিল্পবান্ধব পরিবেশের কথা মাথায় রেখে আড়াইশো কোটি টাকা দিচ্ছে। সহজ শর্তে ঋণ হিসেবে এই টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক। এই সুযোগ কোনও ভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না নবান্ন। তাই আজ শুক্রবারই বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের দেওয়া টাকায় রাজ্য সরকার পণ্য মজুত করে রাখার জন্য উন্নতমানের পরিকাঠামো ও দ্রুত গতির পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাইছে। শিল্পসম্ভাবনা উজ্জ্বল এমন জায়গাগুলিতে উন্নত রাস্তা ও অন্যান্য পরিকাঠামো নির্মাণ করা হবে। দ্রুত পণ্য পরিবহণের লক্ষ্যে জোর দেওয়া হবে সড়ক, রেল ও জলপথের সমন্বয়ের ওপর।
লজিস্টিকসের ক্ষেত্রে কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের মাধ্যমে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৫০ হাজার মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। নদিয়া জেলার হরিণঘাটায় একটিমাত্র ই-কমার্স সংস্থা লজিস্টিক হাব খোলায়, ১১ হাজারের বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে।
এখান থেকেই বোঝা যায়, বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কত সংখ্যক মানুষ কাজ পাবেন। দুর্গাপুজো মিটলেই রাজ্যে বসতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মূল লক্ষ্যই হল, ক্ষুদ্রশিল্পে রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশ-বিদেশের বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে রাজ্যের উৎপাদকদের সমন্বয় বৃদ্ধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে রাজ্যের তৈরি পণ্যের রপ্তানি বাড়ানো।
এর মাঝেই বিশ্বব্যাংকের ঋণ চলে এসেছে রাজ্যের হাতের মুঠোয়। এর ফলে আগামীদিনে রাজ্যে তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়বে, বাড়বে উৎপাদনও। বিশেষভাবে উপকৃত হবে পোশাক, গয়না, ইঞ্জিয়ারিং সামগ্রী, চা এবং সামুদ্রিক পণ্যের সঙ্গে যুক্ত শিল্প। আসলে এই ঋণ আসার রাস্তাটা অনেক আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল।
২০১৯ সালে রাজ্যের তৎকালীন অর্থমন্ত্রী এবং বর্তমানে রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা অমিত মিত্রের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কথা হয়। সেই সময়েই এই ঋণ প্রদানের বিষয়ে রাজি হয়েছিল বিশ্বব্যাংক। কিন্তু কোভিড ও লকডাউনের জেরে সেই বিষয়টি থিতিয়ে যায়। এখন বিশ্ব ব্যাংকের তরফে নতুন করে বিষয়টি সামনে নিয়ে আসা হয়েছে। এর পিছনে বেশ কিছু কারণ কাজ করছে বলেই মনে করা হচ্ছে।