খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৭ মে, নয়াদিল্লিঃ ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। আর শুনানিতেই কমিশন জানাল, প্রায় ১৯,০০০ বৈধ নিয়োগ হয়েছে। অর্থাৎ প্রায় ৭ হাজার নিয়োগ যে অবৈধ তা অবশেষে মেনে নিল এসএসসি। তবে এই বয়ানের ভিত্তিতে এখনও কিছু জানায়নি শীর্ষ আদালত। আরও সওয়াল জবাব চলবে এই মামলায়।
মঙ্গলবার শুনানির শুরু থেকেই সুপ্রিম কোর্ট জানতে চায় কীভাবে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারে এসএসসি। কমিশন জানায়, “সিবিআইয়ের তথ্যের উপর ভরসা করা গেলে যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করা সম্ভব। আমাদের সার্ভার থেকে যে সব ওএমআর ডাটা মিলছে না সেগুলিও আলাদা করতে পারব।’
এদিন শুনানিতে অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা নিয়ে শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য সরকার। রাজ্যের আইনজীবীকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ২০১৬-র নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত শূন্যপদ কেন ২০২২ সালে তৈরি হল? সুপারনিউমেরিক পদ কেন তৈরি হয়েছিল?
ব্যাখ্যা দিয়ে রাজ্যের আইনজীবী জানান, সুপারনিউমেরিক পদ বেআইনি নিয়োগ ঢাকতে তৈরি করা হয়নি। চাকরি বাতিলের ফলে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করার জন্যই সুপারনিউমেরিক পোস্ট তৈরি করা যেতে পারে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তার জন্যই ৬৮৬১ পদ তৈরি করা হয়েছিল। আদালতকে বোকা বানানোর কোনো অভিপ্রায় ছিল না কমিশনের।
অন্যদিকে মামলার শুনানিতে এদিন আরও বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে আসে। বিশেষ করে সবার চাকরি চলে গেলে শিক্ষক কোথা থেকে পাওয়া যাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী। সিনিয়র শিক্ষকদের চাকরি চলে যাচ্ছে। এর পরে আগামিদিনে স্কুলগুলির জন্য প্রধান শিক্ষক পাওয়া যাবে না বলেও প্রধান বিচারপতিকে জানানো হয়।
কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও শাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করে দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি ও চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও মামলা শুনছেন বিচারপতি মনোজ মিশ্র ও জে বি পারদিওয়ালা।