কৃষকদের ডাকে আজ ভারত বনধ, অশান্তি এড়াতে তৎপর প্রশাসন

0
25

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১৬ ফেব্রুয়ারি, নয়াদিল্লিঃ আজ গ্রামীণ ভারত বনধের ডাক দিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা সহ একাধিক কৃষক সংগঠন। সকাল ছ’টা থেকে শুরু হয়েছে বনধ। চলবে বিকেল চারটে পর্যন্ত। সেইসঙ্গে বেলা ১২ টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ‘চাকা জ্যাম’-র কর্মসূচিও নেওয়া হয়েছে। তার জেরে দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানার মতো রাজ্যের কয়েকটি অংশে পরিবহণ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

বন্ধ থাকতে পারে দোকান। ব্যাহত হতে পারে রেল পরিষেবা। তবে পশ্চিমবঙ্গে ভারত বনধের সেরকম কোনও প্রভাব পড়বে না। কৃষক নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালের দাবি, দিল্লি, পঞ্জাব এবং হরিয়ানা সীমান্তে মোতায়েন আধাসামরিক বাহিনী তাদের উস্কানি দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান বের হবে বলে আশা করছেন তাঁরা। নইলে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।

কৃষকদের ভারত বনধের সবথেকে বেশি প্রভাব পড়েছে পঞ্জাবে। পঞ্জাবের মোগা-সহ বিভিন্ন জায়গায় কোনও বাস পরিষেবা নেই। পঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রকদেশের বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন, কৃষি কার্যক্রম, ১০০ দিনের কাজ, বেসরকারি অফিস, গ্রামের দোকান, গ্রামীণ শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রের প্রতিষ্ঠানগুলি এদিন বন্ধ রয়েছে। ব্যাঙ্ক এবং সরকারি অফিসগুলিতেও ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তবে, আন্দোলনকারী কৃষকরা জানিয়েছেন, ভারত বন্ধের সময় অ্যাম্বুলেন্স, বিয়ে, ওষুধের দোকান, স্কুল ইত্যাদির মতো জরুরি পরিষেবাগুলিতে যাতে কোনও প্রভাব না পড়ে, সেই দিকে নজর রাখবেন তাঁরা। ভারত বনধের জেরে নয়ডায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে গৌতম বুদ্ধনগর পুলিশ। সবরকম জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। যাঁরা দিল্লি যাচ্ছেন বা রাজধানী থেকে ফিরছেন, তাঁদের আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছে পুলিশ। কারণ রাস্তা আটকে বিক্ষোভের আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে যতটা সম্ভব আমজনতাকে মেট্রোয় চেপে যাতায়াত করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।

২০২০র পর ফের ‘দিল্লি চলোর’ ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। মূলত তিন দফা দাবি নিয়ে রাজধানী অভিমুখে এই মিছিল। তাঁদের মূল দাবি, আইন এনে সমস্ত রকম ফসলের জন্য নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কৃষি ঋণ মকুব করার এবং স্বামীনাথন কমিশনের সমস্ত সুপারিশ কার্যকর করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here