খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১২ জুনঃ মহেশতলা কাণ্ডের পর বৃহস্পতিবার সকালেই সাংবাদিক বৈঠক করেছেন ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার এসপি। তিনি জানান,বুধবার রাতে বজবজ থানা অন্তর্গত এলাকা থেকে প্রচুর বোমার মশলাও উদ্ধার হয়েছে। আর এই ঘটনায় মোট ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের মধ্যে একজন সক্রিয় আরএসএস কর্মী।
ডায়মন্ড হারবার পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, বুধবার রাত ৮টা নাগাদ গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে ওই এলাকা থেকে পুলিশ বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক গুঁড়ো উদ্ধার করে। পাশাপাশি তিনটি বাইক যেগুলি এই বিস্ফোরক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছিল, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী,উদ্ধার হওয়া বিস্ফোরকের মধ্যে রয়েছে সোডিয়াম পাউডার,১০ কেজির বেশি অ্যালুমিনিয়াম পাউডার,ফসফরাস ডাস্ট, লাল সালফার এবং লোহার গুঁড়ো। এই উপাদানগুলি বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।
পুলিশ আরও জানিয়েছেন, মোট ৫ জন ধৃতের মধ্যে নবীন চন্দ্র রায় নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেরার সময় ওই ব্যক্তি স্বীকার করেছেন যে তিনি আরএসএস এবং বিজেপির সক্রিয় কর্মী। পুলিশের দাবি, রামনবমীর দিন তিনিই বাটা মোড় এলাকায় উপস্থিত ছিলেন,যেখানে মিছিলের পথ এবং ব্যারিকেড নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে তাঁকে পুলিশ ব্যারিকেড ছুড়তেও দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবে এই গ্রেফতারির ঘটনায় রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে উঠেছে।
মহেশতলার ঘটনার পরই এলাকায় যেতে চেয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে আর্জি জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি শিবিরও ময়দানে নেমেছে শাসক দলের বিরোধিতায়। এই অবস্থায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, বিস্ফোরক সহ ধরা পড়েছেন বিজেপি-আরএসএস কর্মী। বোঝাই যাচ্ছে,বিজেপি নেতারা কী কারণে ওই এলাকায় যেতে চাইছেন। কুৎসা রটানোর পরিকল্পনা এবং ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি বলে দাবি তাঁর। কুণালের দাবি,বিজেপিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চাইছে।
অন্যদিকে, মহেশতলায় যাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী,সুকান্ত মজুমদাররা। এতেই বোঝা যায় আরও উস্কানি দিয়ে পরিস্থিতি খারাপ করার ছক রয়েছে বিজেপির।