খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৫ মেঃ ভোটের আগে টাকা বিলির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধে গেল মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাগরদিঘি থানা এলাকায়। অভিযোগ, জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমানের ভাইপো তথা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সদস্য আনারুল হক বিপ্লব শনিবার রাতে ধুলিয়ান থেকে সাগরদিঘিতে যান কয়েকজন ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ টাকা দেওয়ার জন্য। গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কাবিলপুরের সাহেবনগর এলাকায় বাম-কংগ্রেস সমর্থকরা বিপ্লবের গাড়ি ঘিরে ধরেন। এরপর ওই গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন বিপ্লব সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল কর্মী।
স্থানীয় এক বাম নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, প্রাক্তন বাম সাংসদ জয়নাল আবেদিনের এক পুত্রকে তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করানোর জন্য বিপ্লব শনিবার রাতে কাবিলপুর গিয়েছিলেন বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে। কিন্তু ওই বাম নেতার ছেলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে রাজি হননি। তখনই এলাকাতে খবর রটে যায় বিপ্লব ভোটের আগে বিপুল পরিমাণ টাকা বিলি করার জন্য কাবিলপুরে এসেছেন। এর পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাম কংগ্রেস সমর্থকরা।
যদিও টাকা বিলির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আনারুল হক বিপ্লব। তিনি বলেন, “গতকালকে কাবিলপুরে আমাদের দলের একটি “ইনডোর” বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক করে আমি যখন দলের একটি গাড়ি করে ফিরছিলাম সেই সময় হঠাৎই কিছু যুবক আমার গাড়িতে হামলা চালায় এবং গোটা ঘটনার ভিডিও করতে থাকে।” তিনি বলেন,”আমার গাড়ি থেকে কেউ কোনও টাকা খুঁজে পায়নি।”
সাগরদিঘি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নুরে মেহেবুব আলম বলেন, “প্রাক্তন বাম সাংসদের এক ছেলেই আমাদের দলের নেতাকে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলার নাম করে ওই গ্রামে ডেকেছিল। পরিকল্পনামাফিক বাম-কংগ্রেস জোট গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশাসন আমাদের দলের ভাঙচুর হাওয়া গাড়ি পরীক্ষা করে তার ভেতর থেকে দলীয় কিছু পতাকা, পোস্টার, ব্যানার ছাড়া আর কিছুই খুঁজে পায়নি।”
সিপিআইএম জেলা কমিটির সদস্য ইসমাইল শেখ বলেন, “গত ৩-৪ দিন ধরেই তৃণমূল নেতারা কাবিলপুরে এসে টাকা বিলি করছে। শনিবার রাতেও তৃণমূলের কিছু নেতা দুটো গাড়ি নিয়ে গ্রামে এসে বাম কংগ্রেস সমর্থকদেরকে টাকা নিয়ে খলিলুর রহমানকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। এই ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা গোটা ঘটনা ঘটিয়েছে।”