পদ থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের,বিচারপতি কি অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী, নাকি অন্য কোথাও জানুন……

0
253

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩ মার্চঃ দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই ছিল। সেই লড়াই জারি থাকবে। রবিবার সল্টলেকে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি জানান, বাকি কথা মঙ্গলবার হবে। কলকাতা হাই কোর্টে মাস্টারদা সূর্য সেনের মূর্তির নীচে সব কথা বলবেন তিনি।

তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “আপনার যদি এত কৌতূহল থাকে তাহলে বিচারপতির পদ ছেড়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবারেই প্রার্থী হোন, অভিষেকের বিরুদ্ধে লড়ে দেখান।”

এখানেই শেষ নয়, তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক আরও বলেন, “অভিষেকের সম্পত্তি নিয়ে এত কৌতুহল থাকলে তার হলফনামাগুলো দেখে নিন না। ওখানেই তো সব পেয়ে যাবেন।”কুণালের ‘পরামর্শ’, “আপনার তো এবছরই অবসর। তার আগে আপনি স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার থেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে বিরোধী কোনও একটা দল থেকে ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামুন।”

কিন্তু এভাবে বাংলায় শাসক দলের থেকেও তীব্র সমালোচনাও শুনতে হয়েছে। সেই নিয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন বিচারপতির পদ ছেড়ে কোন রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে চাইছেন ? সেই প্রশ্নের জবাবে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, রাজনৈতিক মাঠে নামার জন্য তাঁকে বারবার চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে ধন্যবাদ জানাতে চান। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনে আমার প্রার্থীপদ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি,তবে আমি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন দলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাকে রাজনৈতিক মাঠে আসার চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য।”

এবার কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তিনি প্রার্থী হতে পারেন, তাও আবার বিজেপির। ২০১৮ সালে হাইকোর্টে যোগ দেওয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের আগামী পাঁচ মাসের মধ্যে অবসর নেওয়ার কথা ছিল। ২০২৪-এর জানুয়ারিতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিচারবিভাগীয় বিবাদ সুপ্রিম কোর্টকে দুই বিচারপতির মধ্যে ‘অর্ডার ওয়ার’নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করে।

জানা যাচ্ছে, আগামী ৬ মার্চ বারাসতে একটি মেগা জনসভা করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।আর এই জনসভাতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিতে পারেন বলে খবর। এও শোনা যাচ্ছে, তমলুক থেকে তাঁকে প্রার্থী করতে পারে গেরুয়া শিবির। ২০২৩ সালের নভেম্বরে শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন যে তাঁকে নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল হিসাবে তৃণমূলের স্বীকৃতি বাতিল করতে এবং এর লোগো প্রত্যাহার করতে বলতে হতে পারে।

সূত্রের খবর, তমলুক থেকেই তিনি প্রার্থী হচ্ছেন। এখানে বলে রাখি, তমলুকের বর্তমানের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের টিকিটেই জিতেছিলেন তিনি। তবে এখন শাসকদলের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই কেটেছে তাল। এবারে তমলুক থেকে তিনি বিজেপির টিকিট পেতে পারেন বলে জল্পনা চলছিল। যদিও গতকালই বিজেপির প্রথম দফার যে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে তাতে নাম নেই শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দুর। এরই মধ্যে এবার তমলুক থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ভোটে লড়বেন।

লোকসভা ভোটের আবহে রবিবার হঠাৎই জানা যায় অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শীঘ্রই তিনি ইস্তফা দেবেন বলেও জানান। এরপরই জোড়ালো হতে থাকে জল্পনা। তাহলে কী তিনি লোকসভা ভোটে প্রার্থী হচ্ছেন ? এই প্রশ্নেই তোলপাড় ছিল রাজ্য-রাজনীতি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here