ভাঙ্গনে বাড়িঘর হারিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাস করছেন বহু পরিবার

0
8

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ১০ এপ্রিলঃ ভাঙ্গনে সর্বহারা প্রতিশ্রুতি মিলেছে একের পর এক কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি আজও কি আশায় ভোট দিবেন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার এই বাস্তু হারারা। তাই এখনো ভেবে উঠতে পারছেন না ভাঙ্গনে বাড়িঘর হারিয়ে অস্থায়ী ভাবে বাস করছেন এখনো বহু পরিবার। লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা আসছেন দুয়ারে ভোট চাইছেন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের। কারণ বিগত কয়েক বছর ধরে  স্কুলে অস্থায়ীভাবে বাস করছেন তারা ।

২০১৬ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গঙ্গা ভাঙ্গনে বৈষ্ণবনগর এলাকার চিনা বাজার, সরকারটোলা, বিননগর সহ বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গা গর্ভে বিলীন হয়েছে বাড়িঘর জমি জায়গা সর্বোচ্চ হারিয়েছে। তারা গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বসবাসকারী মানুষের সমস্যা এখনো কোন সরকারই সমাধান করতে পারেনি। কবে হবে এই সমস্যা সমাধান তাও অজানা। প্রতি বছরই ভোটের সময় মিলে প্রতিশ্রুতি তবে ভোট পেরোলেই সেই প্রতিশ্রুতি আর কেউ মনে রাখেনা। গঙ্গা ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষেরা আজকের তাদের সর্বত্র হারিয়ে, তারা কেউ খোলা আকাশের নিচে আবার কেউ স্কুলে অস্থায়ীভাবে বসবাস করছেl

বিন নগর হাই স্কুলে ২০১৬ সাল থেকে শুরু করে এখনো বহু পরিবার বসবাস করছে। সরকার থেকে বাড়িঘর পুনর্বাসন আর্থিক সাহায্য এখনো বহু পরিবার পাইনি আবার কিছু পরিবার সরকার থেকে জমিয়ে বলি ও সেই জমির পাট্টা আর্থিক সাহায্য পায়নি। লোকসভা ভোট দরগড়ায় এখন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা প্রার্থীরা সকলেই আসছেন ভাঙ্গন দুর্গত সেইসব পরিবারের কাছে দেখা করছেন ভোট ভিক্ষাও চাচ্ছেন তবে আবারো সেই প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যাচ্ছে।

এদিন ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দা শিউলি মন্ডল তিনি জানান, ২০১৬ সালে বাড়িঘর গঙ্গায় তলিয়ে যায়। আজকে ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল এই ভাবেই অস্থায়ীভাবে স্কুলে তাদের বসবাস করতে হচ্ছে। সরকার থেকে জায়গা জমি থেকে আর্থিক সাহায্য কিছুই পায়নি। কষ্টের মধ্যেই এই স্কুলে থাকতে হচ্ছে। ভোট আসলেই খালি নেতাদের প্রতিশ্রুতি। চাঁদের অর্থ রয়েছে তারা জায়গা কিনে বাড়ি করে নিয়েছে কিন্তু আমাদের অর্থ নেই যার জন্য আমরা এখানেই পড়ে রয়েছি এইভাবে তাই এইবারের ভোটে যারা আমাদের কথা শুনবে আমাদের কথা রাখবে তাদেরকেই ভোট দেবো।

ফুলকুনি মন্ডল সবাই আমাদের সাথে দেখা করতে আসে কিন্তু কোন ক্ষতিপূরণ পাচ্ছিনা বিড়ি বেঁধে রোজগার করছি জায়গা দিলেও আর্থিক সাহায্য পায়নি বাড়িঘর পায়নি। কেউ আমাদের খোঁজ খবর রাখে না। যারা আমাদের পাশে থাকবে তাদেরকেই ভোট দিব। মেনকা মন্ডল তার মুখ থেকেও শোনা গেল একই কথা।

এদিন বৈষ্ণবনগর বিধানসভার প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার জানান, ২০১৬ সাল থেকে এই এলাকায় গঙ্গা ভাঙ্গন হয়ে আসছে আজকে এক হাজার বেশি পরিবার গঙ্গা ভাঙ্গনে তাদের বাড়িঘর গঙ্গায় তলিয়ে গেছে। দুঃখের বিষয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে ৩০০ লোকের পুনর্বাসন করেছে। কিন্তু এখনো কারো পুনর্বাসন করতে পারেনি। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে অত্যন্ত হতাশ হবেন না।

এদিন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ইসা খান চৌধুরী জানান ভাঙ্গন কবলিত এলাকার মানুষরা খুব কষ্টের মধ্যে রয়েছে তাদের পুনর্বাসনের একটা সমস্যাও রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে বহুবার রাজ্য সরকার এবং জেলা শাসক কে বলেছি আমাদের দাবি এদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক।

মালদা জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বাবলা সরকার জানান, গঙ্গা ভাঙন মালদা জেলায় একটি বড় সমস্যা কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই সমস্যা সমাধান আজও করতে পারিনি যা করেছে আমাদের রাজ্য সরকারই করেছে। আর ভোটের সময় বিজেপি নিজেদের দোষগুলি তুলে ধরছে। বৈষ্ণবনগর এলাকার বিজেপির প্রাক্তন বিধায়ক তিনিও কোন কাজ করতে পারেননি। অথচ কেন্দ্রে তাদের সরকার আছে। আজকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি পুনর্বাসনের জন্য অনেক কে জমি দিয়েছে। এই ভোটের সময় বিজেপির আবার প্রতিশ্রুতি দিবেন তারপর ভোট পেরোলেই তারা হারিয়ে যাবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here