ভারতরত্ন পাচ্ছেন নরসিমা রাও, চরণ সিং, সম্মানিত বিজ্ঞানী স্বামীনাথনও, ঘোষণা মোদির

0
19

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৯ ফেব্রুয়ারি, নয়াদিল্লি:‌ ভারতরত্নে সম্মানিত হতে চলেছেন আরও তিন বিশিষ্ট ব্যক্তি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে জানান যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও এবং ভারতের সবুজ বিপ্লবের ‘নায়ক’ এম এস স্বামীনাথনকে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার ভারতরত্নে ভূষিত করা হচ্ছে।  এর আগে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কার্পুরি ঠাকুর ও দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানিকে এই সম্মান দেওয়ার ঘোষণা করা হয়।

এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, “পিভি নরসিমা রাওয়ের দূরদর্শী নেতৃত্ব ভারতকে অর্থনৈতিক দিক থেকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল। দেশের উন্নতি ও সম্মৃদ্ধির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনি।” দেশের দশম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পিভি নরসিমা রাও। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল অবধি দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।

ভারতরত্ন সম্মান পাচ্ছেন আরও এক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংও। দেশের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। গণতন্ত্রে তাঁর অবদান ও দেশের কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়নের জন্য তাঁর লড়াইয়ে সাধুবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “এটা আমাদের সরকারের সৌভাগ্য যে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিং-কে ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করতে পারছে। উনি নিজের গোটা জীবন কৃষকদের অধিকার ও উন্নতির লক্ষ্যে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীই হোক বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বা বিধায়ক হিসাবে তিনি দেশ গড়তে বরাবরই অবদান রেখেছেন।”

ভারতরত্ন সম্মান পাচ্ছেন কৃষিবিজ্ঞানী ডঃ এমএস স্বামীনাথনকেও। স্বাধীনতার পরের কয়েক দশক, দেশের প্রতিটি মানুষের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য ভারতকে বিদেশের সাহায্যের উপর নির্ভর করতে হত। কিন্তু, সেই পরিস্থিতির বদল ঘটেছিল গত শতাব্দীর ছয় ও সাতের দশকে। ভারতে ধান ও গমের উৎপাদন ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর সেই ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন প্রখ্যাত কৃষি বিজ্ঞানী এমএস স্বামীনাথন। তাঁকে বলা হত ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক। প্ল্যান্ট জেনেটিক্সের ক্ষেত্রে তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজই ভারতের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছিল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here