এক গৃহবধূকে পণের দাবিতে প্রাণে মে*রে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে

0
38

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৮ এপ্রিলঃ এক গৃহবধূকে পণের দাবিতে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ স্বামি সহ শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে মালদার গাজোলের দেওতলা অঞ্চলের কাটনা এলাকার রাতুল নুরপুর গ্রামে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে ওই এলাকায়।  এরপর ওই গৃহবধূ গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসার পর গাজোল থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান স্বামীর সহ শ্বশুর বাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে ।

জানা যায় ওই গৃহবধূর নাম জামেলা খাতুন বয়স ১৯, তার স্বামী আব্দুর রহমান, গৃহবধূর বাবার বাড়ি গাজোলের দেওতলা অঞ্চলের ২১মাইল এলাকায়। ওই গৃহবধূ জানান আমার সাথে আব্দুর রহমানের ভালোবাসা হয় তারপর গাজোলের দেওতলা অঞ্চলের কাটনা এলাকার রাতুল নুরপুর গ্রামের মঞ্জুল রহমানের ছেলে আব্দুর রহমানের বাড়িতে মুসলিম ধর্ম মতে আমাদের দুজনের বিয়ে হয় ৯ মাস পূর্বে বিয়ের সময় আমার বাবার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা তারা নেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভালো ছিলাম তারপর আমার ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালায় আমার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

তারা আমার বাবার কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আমি তাদেরকে বলি বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা নিয়ে আসতে পারবো না। তখন তারা আমার উপর আরো বেশি করে শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করতো। সঠিকভাবে ভরণ পোষণ দিত না বাবার বাড়িতে যেতে দিত না।২৩ শে এপ্রিল তারা পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে দেওয়ার জন্য আমার ওপর আক্রমণ করে কিল ঘুষি দেয় এবং লোহার রড দিয়ে মারধোর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এবং সিমেন্টের খুঁটিতে আমার মাথা বারবার আঘাত করে।

আমার শাশুড়ি ও শ্বশুর গলায় শ্বাসরোধ করে আমাকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন। তখন আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ও বাবার বাড়ির লোকজন ছুটে আসেন তারা সকলে মিলে আমাকে গাজোল হাসপাতালে নিয়ে আসেন ।গাজোল হাসপাতালে চিকিৎসার পর শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই আমার স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে। বর্তমানে আমি বাবার বাড়িতে থাকছি। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকাজুড়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here