কেন্দ্রীয় সংস্হাকে কাজে লাগিয়ে ভোটপ্রচারে বাধা দিচ্ছে বিজেপি, দিল্লিতে গিয়ে কমিশনে নালিশ জানাল তৃণমূল

0
14

খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৯ মার্চ, নয়াদিল্লিঃ কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমূলের প্রচারে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে বিজেপি। এই অভিযোগ তুলে লোকসভা ভোটের আগে শুক্রবার নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়ে এলেন তৃণমূলের পাঁচ প্রতিনিধি। ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডেরেক ও’ব্রায়েন, দোলা সেন, শশী পাঁজা, সাকেত গোখেল এবং সাগরিকা ঘোষ।

পরে সাংবাদিক সম্মেলনে শশী পাঁজা বলেন, “নির্বাচন কমিশনে আমরা স্মারকলিপি জমা দিয়েছি। আগামী সোমবার আবার নির্বাচন কমিশন আমাদের সময় দিয়েছে। কমিশনের আধিকারিকদের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা হয়েছে। আমাদের প্রার্থী মহুয়া মৈত্র, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসদের বাড়িতে তারা হানা দিচ্ছে। প্রার্থী থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, কাউকে রেহাই দেওয়া হচ্ছে না। প্রার্থীকে বিব্রত করার অর্থ প্রচার আটকানো। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নিয়ে এটা করা হচ্ছে। শুধু ইডি, সিবিআই নয়, আয়কর দফতর, এনআইএ-র মতো সংস্থাও আমাদের নেতাদের বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে। কর্মীদের ব্যতিব্যস্ত করা হচ্ছে। এই বিষয়টি আটকানোর ক্ষমতা আছে নির্বাচন কমিশনের কাছে“।

তিনি আরও বলেন, “এখন আদর্শ আচরণবিধি লাগু হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও দেখা যায়নি। লক্ষ্যনীয়, সব কেন্দ্রীয় সংস্থাই কিন্তু বাংলায় আসছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যে যাচ্ছে না। দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোর দায়িত্ব কমিশনের। আমরাও সেটাই চাইছি। আমরা চাই নির্বাচন কমিশন হস্তক্ষেপ করুক। ওরা বাংলাকে টার্গেট করেছে। মহুয়া মৈত্র-সহ বাকি সব তৃণমূল প্রার্থী যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদের টার্গেট করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে।”

উল্লেখ্য, বিদেশি মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইন লঙ্ঘনের একটি মামলায় বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে দিল্লিতে তলব করেছিল ইডি। যদিও মহুয়া প্রচারে ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের বোলপুরের বাড়িতে কিছু দিন আগে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সেখান থেকে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।

মন্ত্রীকে বুধবার ডেকে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। তিনিও হাজিরা দিতে যাননি। রাজ্যের আর এক মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস এবং তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূল কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসের বাড়িতে টানা ৭০ ঘণ্টা তল্লাশি চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। প্রতি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here