কোচবিহার, ১ মেঃ সাফারি গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল টোটো চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার খাগড়াবাড়ি সংলগ্ন ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে। ওই ঘটনার পরে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে ওই টোটো চালককে উদ্ধার করে কোচবিহার এম জে এন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই টোটো চালককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ঘাতক গাড়িটি ও টোটোটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর সাফারি চালক পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত ওই টোটো চালকের নাম রতন দাস (৫৫)। তার বাড়ি কোচবিহার রাজারহাট সংলগ্ন এলাকায়। জানা গেছে, এদিন ওই সাফারি গাড়ির সোনাপুর থেকে কোচবিহারের দিকে আসছিল, সেই সময় ওই টোটো চালক দুজন যাত্রীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে আসছিলেন কোচবিহারের দিকে। সেই সময় খাগড়াবাড়ি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় ওই সাফারি গাড়িটি পেছন দিক থেকে টোটোটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে টোটো চালক রাস্তায় পড়ে যায়। টোটো তে থাকা বাকি দুজন সামান্য আঘাত পায় বলে জানা গিয়েছে। পরে তাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় লোকেরা কোচবিহার এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ওই টোটো চালককে মৃত বলে ঘোষণা করে। এই ঘটনার পর সাফারি চালক পলাতক বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে পথ চলতি মানুষ ও স্থানীয় বাসিন্দারা। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুন্ডিবাড়ী থানার পুলিশ।
এদিন টোটোয় থাকা এক মহিলা জানান, খাগড়াবাড়ি পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে টোটো চালক দুজন যাত্রীকে তুলে কোচবিহারে যাওয়ার জন্য ঘুরছিল। সেই সময় একটি সাফারি গাড়িটি পেছন দিক থেকে টোটোটিতে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে টোটো চালক রাস্তায় পড়ে যায়। টোটোতে থাকা বাকি দুজন সামান্য আঘাত পায় বলে জানা গিয়েছে। তারপরে টোটো চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।