খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ২৮ মার্চ, নয়াদিল্লিঃ অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারি নিয়ে ফের সরব আমেরিকা। বুধবারই আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের এই সংক্রান্ত মন্তব্যে ‘অসন্তুষ্ট’ ভারতের বিদেশ মন্ত্রক তলব করেছিল সে দেশের এক শীর্ষ কূটনীতিককে। তবে তার পরেও নিজেদের অবস্হানেই অনড় রইল জো বাইডেন প্রশাসন।
বুধবার দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রকে মার্কিন দূতাবাসের পদস্থ কর্তাকে ডেকে ভারতে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে সতর্ক করার কয়েক ঘণ্টার মধ্য হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তারা চায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী যেন দ্রুত ন্যায় বিচার পান।
সেদেশের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘নয়াদিল্লিতে কূটনৈতিক পর্যায়ের বৈঠকে কী কথা হয়েছে তা আমরা প্রকাশ্যে জানাতে চাই না। তবে এটুকু জানাতে চাই, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সরছি না। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারির ঘটনাটিতে আমরা নজর রাখছি। আমরা মনে করি, সকলের মতো কেজরিওয়ালেরও দ্রুত, স্বচ্ছ বিচার পাওয়ার অধিকার আছে।’
পাশাপাশি, কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ‘ফ্রিজ’ করার বিষয়েও তিনি বলেন, ‘আমাদের নজরে আছে কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করার বিষয়টিও। এরফলে কংগ্রেসের নির্বাচনী প্রচার চালাতে সমস্যা হবে। আমরা মনে করি, প্রত্যেকেরই স্বচ্ছ এবং দ্রুত বিচার প্রাপ্য।’ সম্প্রতি আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের তরফে বলা হয়, তারা কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারির বিষয়ে নজর রাখছে। একই সঙ্গে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে ‘স্বচ্ছ, অবাধ আইনি প্রক্রিয়া’র জন্য নয়াদিল্লির কাছে আর্জি জানায় ওয়াশিংটন।
বুধবারই দিল্লির পররাষ্ট্রমন্ত্রকে ডেকে পাঠানো হয় ভারতে মার্কিন দূতাবাসের কার্যনির্বাহী সরকারী প্রধান গ্লোরিয়া বারবেনাকে। তাঁকে বলে দেওয়া হয়, আমেরিকা যেন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায়। এটা নয়াদিল্লির পছন্দ নয়। ঘটনা হল, তার আগের দিন অর্থাৎ সোমবার একই কথা বলে সতর্ক করা হয় দিল্লিতে কর্মরত জার্মান দূতকেও।