খবরিয়া ২৪ নিউজ ডেস্ক, ৩০ অক্টোবর, বোলপুরঃ ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেলাগাম আক্রমণ বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর ৷ চিঠি দিয়ে তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী ‘কান দিয়ে দেখেন’ ৷ এছাড়াও সরাসরি তিনি চিঠিতে কটাক্ষ করে লিখেছেন যে, ‘আপনার মন্ত্রী-স্তাবকরা জেল খাটছেন’৷
মাস দেড়েক আগেই ইউনেসকোর তরফে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ার পরই উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা পূর্ত দপ্তরের কাছ থেকে বিশ্বভারতীকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই আবেদনে রাজ্যের তরফে সারা না পেয়ে উপাচার্য ফের গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একবার চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকে।
তাতেও সারা দেয়নি রাজ্য। আর এদিন উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা ফেরত চেয়ে তৃতীয় চিঠি লিখলেন উপাচার্য। চিঠিতে ফের উপাসনা গৃহে সামনের রাস্তা চাওয়া হয়। পাশাপাশি লেখা হয়, ‘আপনি এখনও কান দিয়ে দেখেন’। শুধু এটুকুই নয়, নজিরবিহীন আক্রমণ করে উপাচার্য লেখেন, ‘আপনার দুই সিনিয়র মন্ত্রী জেলে আছেন। আপনার বিশ্বস্ত সহযোগীরা তিহাড়ে বন্দী। আপনার সরকারের উপাচার্য জেলে।’
এছাড়াও বিস্ফোরক এই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূল সরকার কয়লা, গরু, রেশন, চোরাচালান কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। অর্থাৎ, ফলক বিতর্কের আন্দোলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এভাবেই বেলাগাম আক্রমণ করলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে৷ এর প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মন্ত্রী ও বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী চন্দ্রনাথ সিংহের বক্তব্য, উপাচার্যের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে এই নভেম্বরেই। এক্সটেনশনের সবুজ সংকেত এখনও পর্যন্ত পাননি তিনি। এখন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করে মন পেতে চাইছেন কেন্দ্রীয় সরকারের। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন পদ পাওয়াটাই বড় কথা নয়।
চন্দ্রনাথ আরও জানান, বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর কী হবে সেটা আদালত ঠিক করবে। কারণ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা জমা হয়ে আছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের জমি ইস্যুতে পাশে দাঁড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রীকে বেলাগাম আক্রমণ করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের।